মুম্বাইতে রেলস্টেশনে পদদলিত হয়ে আহত ৯, বিজেপিকে দুষছে বিরোধীরা

ট্রেনে তাড়াহুড়ো করে উঠতে গিয়ে খুলে গেছে অনেকের জুতা। মুম্বাইয়ের বান্দ্রা রেলস্টেশন শনিবার দিবাগত রাতেছবি: এএনআই

ভারতের মুম্বাইয়ের বান্দ্রা রেলস্টেশনে শনিবার দিবাগত রাতে পদদলিত হয়ে অন্তত নয়জন যাত্রী আহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনার জন্য বিরোধী শিবসেনা (ইউবিটি) ও কংগ্রেস কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী ও মহারাষ্ট্র সকারের সমালোচনা করেছে।

শিবসেনার (ইউবিটি) নেতা আদিত্য ঠাকরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সমালোচনা করে লিখেছেন, আমার মনে হয় এই রেলমন্ত্রী একবারের জন্য রেলমন্ত্রী হয়েছেন। রেলমন্ত্রী হিসেবে তিনি যে কতটা ব্যর্থ, বান্দ্রার এই দুর্ঘটনা সেটাই প্রমাণ করে।

কংগ্রেসের নেতা রশিদ আলভি মহারাষ্ট্রের একনাথ শিন্ডে (শিবসেনা) ও বিজেপির জোটকে ‘দুই ইঞ্জিনের’ সরকার বলে সমালোচনা করেছেন। তিনি বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, মহারাষ্ট্রে ‘জঙ্গলের রাজত্ব’ চলছে। তিনি আরও বলেন, ‘দুই ইঞ্জিনের সরকারে সবকিছু ভালো হয়ে যাবে। মহারাষ্ট্রে একটি দুই ইঞ্জিনের সরকার রয়েছে। রেলওয়ে ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষণাবেক্ষণের কাজ তাদের অধীনে চলে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সেখানে যাত্রীদের সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এ অবস্থায় রেলওয়ে ও মহারাষ্ট্রকে কে বিশ্বাস করবে? আমি এই অযোগ্য মহারাষ্ট্র সরকারের নিন্দা করছি।’

প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার দিবাগত রাত ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে বান্দ্রা-গোরখপুর অন্ত্যোদয় এক্সপ্রেস (ট্রেন) বান্দ্রা টার্মিনাল থেকে ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকার সময় তাতে হুড়মুড় করে যাত্রীরা উঠতে শুরু করেন। এতে পদদলনের ঘটনা ঘটে।

রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২২ কামরার ট্রেনটি ছাড়ার সময়সূচি ছিল ভোর ৫টা ১০ মিনিটে। দীপাবলি ও ছট পূজা উপলক্ষে বিপুলসংখ্যক মানুষের বাড়ি ফেরার চাপ থাকায় ট্রেনটিতে আগে থেকে টিকিট বিক্রি করা হয়নি। তাই যাত্রীরা আসন পাওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করে ট্রেনে উঠতে চেষ্টা করছিলেন।

আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বৃহানমুম্বাই মিউনিসিপ্যাল ​​করপোরেশন (বিএমসি)।