লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ৪২ আসনে ভোট ৭ দফায়
ভারতের লোকসভার ৫৪৩ আসনের ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। এসব আসনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনে ভোট হবে ৭ দফায়। এ রাজ্যে ভোট শুরু হবে ১৯ এপ্রিল, শেষ হবে ১ জুন। ফল প্রকাশিত হবে ৪ জুন।
আজ শনিবার বেলা তিনটায় ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এ ঘোষণা দেন।
এর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনও এই ৪২ আসনে ৭ দফায় হবে।
পশ্চিমবঙ্গে ভোট নেওয়া হবে যথাক্রমে ১৯ এপ্রিল, ২৬ এপ্রিল, ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে ও ১ জুন।
প্রথম দফায় ১৯ এপ্রিল ভোট নেওয়া হবে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি আসনে।
দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ভোট নেওয়া হবে রায়গঞ্জ, বালুরঘাট ও দর্জিলিং আসনে।
তৃতীয় দফায় ৭ মে ভোট নেওয়া হবে মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর আসনে।
চতুর্থ দফায় ১ মে ভোট নেওয়া হবে কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বোলপুর, বীরভূম, বর্ধমান পূর্ব, ও বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে।
পঞ্চম দফায় ২০ মে ভোট নেওয়া হবে শ্রীরামপুর, বারাকপুর, দমদম, বসিরহাট, বনগাঁ, হাওড়া, হুগলি ও উলবেড়িয়া আসনে।
ষষ্ঠ দফায় ২৫ মে ভোট নেওয়া হবে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, কাঁথি, মেদিনীপুর, তমলুক ও ঘাটাল আসনে।
সপ্তম দফা বা শেষ দফায় ১ জুন ভোট নেওয়া হবে উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, বশিরহাট, জয়নগর, দমদম, বারাসাত ও যাদবপুর।
ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেছেন, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। সন্ত্রাস ও অশান্তি হলে কঠোরভাবে তা দমন করা হবে। কোনো ধরনের উসকানি ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য বরদাস্ত করা হবে না। ভুয়া খবর প্রচার ও প্রকাশ করলে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ২ হাজার ১০০ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে নির্বাচন হবে। সন্ত্রাস মোকাবিলায় জেলায় জেলায় কন্ট্রোল রুম থাকবে।
নির্বাচনের প্রাক্কালে এবার অন্যতম নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল পদত্যাগ করেন। গত ফেব্রুয়ারিতে অবসর নিয়েছিলেন দ্বিতীয় কমিশনার অনুপ চন্দ্র পান্ডে। ফলে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার একা হয়ে গিয়েছিলেন। গত বৃহস্পতিবার নির্বাচিত কমিটির বৈঠক ডেকে নতুন দুই ইসিকে নিযুক্ত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিরোধী নেতা অধীর চৌধুরীর বৈঠকে মনোনীত হন দুই সাবেক আমলা সুখবীর সিং সান্ধু ও জ্ঞানেশ কুমার। অধীর চৌধুরী যদিও বৈঠকে তাঁর অসন্তোষ নথিভুক্ত করেন।
এবারই প্রথম নতুন আইনে ইসির সদস্যরা মনোনীত হলেন। এত দিন ধরে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী নেতা ও দেশের প্রধান বিচারপতি এই নিযুক্তির দায়িত্বে ছিলেন। নতুন আইনে প্রধান বিচারপতিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সে জায়গায় আনা হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার শীর্ষ কোনো সদস্যকে। এর বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে।
আবেদনকারীদের আরজি, ওই নিযুক্তির মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত ইসির নিযুক্তিতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। সেই আরজি সুপ্রিম কোর্ট গতকাল শুক্রবার নাকচ করে দেন। তবে মামলা শুনতে বিচারপতিরা রাজি হয়েছেন। আগামী বৃহস্পতিবার সেই শুনানি।