শেখ হাসিনাকে কি দেশে ফিরিয়ে আনা যাবে, কী করতে পারে ভারত
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দেশে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৮টি হত্যা মামলাসহ ১৯টি মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করার দাবি উঠেছে। এ অবস্থায় ভারত কী করতে পারে, তা নিয়ে আজ মঙ্গলবার দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের অনলাইনে লিখেছেন দীপ্তিমান তিওয়ারি।
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশে একের পর এক ফৌজদারি মামলা হচ্ছে। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, ভারতের প্রতিবেশী বাংলাদেশ তাঁকে দেশে ফিরিয়ে নিতে চাইতে পারে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ১৫ আগস্ট বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। দেশের স্বরাষ্ট্র ও আইন—এই দুই মন্ত্রীর সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, তাঁকে এখন দেশে ফিরিয়ে আনা দরকার।
তৌহিদ হোসেন অবশ্য এ–ও বলেন, এ ধরনের পরিস্থিতিতে কূটনৈতিকভাবে ভারত বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়বে। তবে তিনি নিশ্চিত, ভারত ‘বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবে’।
ভারতের বেশ কয়েকজন পলাতক ব্যক্তি, বিশেষ করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর যেসব সদস্য বাংলাদেশে লুকিয়ে ছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনতে এই চুক্তি করা হয়েছিল। একইভাবে বাংলাদেশ জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশসহ (জেএমবি) বেশ কয়েকটি নিষিদ্ধ সংগঠন নিয়ে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ছিল বাংলাদেশ সরকার। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে ওই সব নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্যরা লুকিয়ে ছিলেন।
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে কি প্রত্যর্পণ চুক্তি আছে
জবাব হচ্ছে, হ্যাঁ। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ ও ভারত প্রত্যর্পণ চুক্তি করেছে। দুই দেশের মধ্যে পলাতক ব্যক্তিদের প্রত্যার্পণ সহজ ও দ্রুত করতে ২০১৬ সালে চুক্তি সংশোধন করা হয়েছে।
ভারতের বেশ কয়েকজন পলাতক ব্যক্তি, বিশেষ করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর যেসব সদস্য বাংলাদেশে লুকিয়ে ছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনতে এই চুক্তি করা হয়েছিল। একইভাবে বাংলাদেশ জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশসহ (জেএমবি) বেশ কয়েকটি নিষিদ্ধ সংগঠন নিয়ে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ছিল বাংলাদেশ সরকার। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে ওই সব নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্যরা লুকিয়ে ছিলেন।
এই প্রত্যর্পণ চুক্তির বদৌলতে ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) নেতা অনুপ চেটিয়াকে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিল ভারত। তখন থেকে প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় আরও এক পলাতক ব্যক্তিকে বাংলাদেশ ভারতের কাছে তুলে দিয়েছিল।
সূত্রমতে, এই চুক্তির আওতায় ভারতও বেশ কয়েকজন পলাতক ব্যক্তিকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছিল।
চুক্তি অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির ন্যূনতম এক বছর সাজা হলে ওই ব্যক্তি প্রত্যর্পণযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। আর্থিক অপরাধও এর মধ্যে গণ্য হবে। চূড়ান্তভাবে প্রত্যর্পণযোগ্য অপরাধ এমন হবে যে ওই অপরাধ দুই দেশেই শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
চুক্তি অনুযায়ী, যাঁদের বিরুদ্ধে আইনিপ্রক্রিয়া চলমান বা যাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ আনা হয়েছে অথবা যাঁরা আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন অথবা যাঁদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা রয়েছে বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁদের গ্রেপ্তারের জন্য খুঁজছে অথবা যাঁরা প্রত্যর্পণ করার মতো অপরাধ করেছেন বলে আদালত গণ্য করবেন, সেসব ব্যক্তিকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাবে বাংলাদেশ ও ভারত।
চুক্তি অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির ন্যূনতম এক বছর সাজা হলে ওই ব্যক্তি প্রত্যর্পণযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। আর্থিক অপরাধও এর মধ্যে গণ্য হবে। চূড়ান্তভাবে প্রত্যর্পণযোগ্য অপরাধ এমন হবে যে ওই অপরাধ দুই দেশেই শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
চুক্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কোনো অপরাধ করার চেষ্টা বা অপরাধে সহযোগিতা, প্ররোচনা দেওয়া, উসকানি দেওয়া অথবা সহযোগী হিসেবে কাজ করাও’ প্রত্যর্পণযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
এই নীতিমালার কি ব্যতিক্রম আছে
জবাব হচ্ছে, হ্যাঁ। এই চুক্তিতে বলা হয়েছে, অপরাধের মধ্যে ‘রাজনৈতিক ধরন’ থাকলে প্রত্যর্পণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হতে পারে। তবে অপরাধের ধরনের সীমা বিবেচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। ‘রাজনৈতিক’ বলে বিবেচনা করা যায় না, প্রত্যর্পণের এমন অপরাধের তালিকাই বরং দীর্ঘ।
এসব অপরাধের মধ্যে রয়েছে খুন, নরহত্যা, হামলা, বিস্ফোরণ, কারও জীবন বিপন্ন করার লক্ষ্যে কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য বা অস্ত্র রাখা, গ্রেপ্তার এড়াতে বা বাধা দিতে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার করা, জীবন বিপন্ন করতে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি করা, অপহরণ বা কাউকে জিম্মি করা, হত্যায় উসকানি দেওয়া এবং সন্ত্রাস–সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অপরাধ।
৮ নম্বর অনুচ্ছেদে প্রত্যর্পণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করার মতো বেশ কয়েকটি ক্ষেত্র রয়েছে। এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ‘ন্যায়বিচারের স্বার্থে সৎ উদ্দেশ্যে’ অভিযোগ করা হয়নি বলে প্রতীয়মান হলে বা সামরিক অপরাধ হলে যা ‘সাধারণ ফৌজদারি আইনে অপরাধ’ নয়, এমন ক্ষেত্রে প্রত্যর্পণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ রয়েছে।
হাসিনাকে কি বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করা যাবে
হাসিনা একজন রাজনৈতিক খেলোয়াড় এবং তিনি ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে পারেন। অবশ্য যেসব অপরাধের অভিযোগ এনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, সেগুলোকে প্রত্যর্পণ চুক্তিতে রাজনৈতিক অপরাধের সংজ্ঞা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হত্যা, জোরপূর্বক গুম ও নির্যাতনের ঘটনা।
গত মাসে পুলিশের গুলিতে মুদিদোকানি নিহত হওয়ার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৩ আগস্ট প্রথম হত্যা মামলা হয়েছে। এর পরদিন ২০১৫ সালে এক আইনজীবীকে অপহরণের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়। হত্যা, নির্যাতন ও গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তৃতীয় মামলা হয় ১৫ আগস্ট। (আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত সব মিলিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৯টি মামলা হয়েছে, যার মধ্যে ১৮টিই হত্যা মামলা, ১টি অপহরণ মামলা)।
২০১৬ সালে চুক্তির ১০ (৩) অনুচ্ছেদ সংশোধনের ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। ওই অনুচ্ছেদে আগে ছিল, কোনো ব্যক্তির প্রত্যর্পণের জন্য অনুরোধ করা দেশকে সংঘটিত অপরাধের প্রমাণ সরবরাহ করতে হবে। সংশোধনের পর এখন একটি গ্রহণযোগ্য আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেই প্রত্যর্পণপ্রক্রিয়া শুরু করা যাবে।
অনুরোধ এলে ভারত কি হাসিনাকে ফেরত পাঠাবে
ভারত চাইলে না–ও পাঠাতে পারে। এই চুক্তিতে প্রত্যর্পণের অনুরোধ যাচাই-বাছাই করে প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ রয়েছে। চুক্তির ৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কোনো দেশের প্রত্যর্পণের অনুরোধ অন্য দেশ প্রত্যাখ্যান করতে পারে, যদি ওই ব্যক্তির প্রত্যর্পণসংক্রান্ত অপরাধের বিচার তিনি যে দেশে আছেন, সেখানে করার কোনো সুযোগ থাকে। তবে শেখ হাসিনার মামলার ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না।
৮ নম্বর অনুচ্ছেদে প্রত্যর্পণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করার মতো বেশ কয়েকটি ক্ষেত্র রয়েছে। এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ‘ন্যায়বিচারের স্বার্থে সৎ উদ্দেশ্যে’ অভিযোগ করা হয়নি বলে প্রতীয়মান হলে বা সামরিক অপরাধ হলে যা ‘সাধারণ ফৌজদারি আইনে অপরাধ’ নয়, এমন ক্ষেত্রে প্রত্যর্পণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ রয়েছে।
‘ন্যায়বিচারের স্বার্থে সৎ উদ্দেশ্যে’ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়নি, প্রত্যর্পণ প্রত্যাখানের ক্ষেত্রে ভারতের সামনে এখন এই বিকল্প আছে। ভারত চাইলে এমন যুক্তি তুলে ধরতে পারে। তবে ভারত এমন পদক্ষেপ নিলে ঢাকার নতুন সরকারের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
এ ছাড়া ভৌগোলিক বাস্তবতা রয়েছে। বাংলাদেশ হচ্ছে ভারতবেষ্টিত। দুই দেশের মধ্যে যথেষ্ট অবকাঠামোগত সংযুক্তি রয়েছে। এই সম্পর্কের গতিপ্রকৃতি নিয়ে শেষ শব্দ লেখার মতো সময় এখনো আসেনি।
তাহলে ভারত কী করবে
ঢাকায় যে–ই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, ভারতকে সেই সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। বাংলাদেশে ভারতের দীর্ঘমেয়াদি কৌশল ও অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। একই সঙ্গে নয়াদিল্লির দীর্ঘদিনের বন্ধু ও মিত্র শেখ হাসিনার পাশেও অবশ্যই তাদের থাকতে হবে।
বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা ভারতের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের (র) সাবেক এক কর্মকর্তা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার মধ্যেই কি আমাদের গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থ নিহিত? না, মোটেই তা নয়। চুক্তির বৈধতা কোনো বিষয় নয়। উভয় পক্ষের আইনজীবী রয়েছেন।’
সাবেক এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা যুক্তি তুলে ধরে বলেন, ‘বাংলাদেশে ভারতের অনেক স্বার্থ রয়েছে। সেখানকার সরকারও ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চায়। আওয়ামী লীগ শেষ হয়ে যায়নি। তাদের শিকড় অনেক গভীরে। এই দল আবার উঠে দাঁড়াবে। এখন সেখানে যে প্রশাসন ও সেনাবাহিনী রয়েছে, তারা ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়। সুতরাং আমাদের সম্পর্কের ন্যূনতম এমন কিছু উপাদান আছে, যার মাধ্যমে সম্পর্ক ভালো থাকবে।’
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এ ছাড়া ভৌগোলিক বাস্তবতা রয়েছে। বাংলাদেশ হচ্ছে ভারতবেষ্টিত। দুই দেশের মধ্যে যথেষ্ট অবকাঠামোগত সংযুক্তি রয়েছে। এই সম্পর্কের গতিপ্রকৃতি নিয়ে শেষ শব্দ লেখার মতো সময় এখনো আসেনি।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আরও কয়েকটি নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছে। তারা বলছে, চুক্তি থাকুক বা না থাকুক, কোনো দেশ জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে পলাতককে নিয়ে ব্যবসা করে না। ঘটনাক্রমে এ ক্ষেত্রে যা ঘটবে, তা হবে একটি রাজনৈতিক বিষয়।
এ অঞ্চলে কাজ করা সাবেক এক ভারতীয় কূটনীতিক বলেন, এ বিষয়ে কোনো কিছু বলার এখনো সময় আসেনি।
এই কূটনীতিক বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে, এটি একটি অন্তর্বর্তী সরকার। তাদের কোনো বিবৃতিতে ভারতের বিচলিত হওয়া উচিত নয়। সেখানে নিয়মিত সরকার এলে ভারত তার সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদে কাজ করবে এবং সে দিকেই মনোযোগ দিতে হবে। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত (শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে) এফআইআর দাখিল করা হয়েছে। এসব মামলার তদন্ত হবে, অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হবে। এরপর প্রত্যর্পণপ্রক্রিয়া শুরু করা হবে কি না, সে ব্যাপার আদালত আমলে নেবেন। এ সময়ের মধ্যে তিস্তায় অনেক পানি প্রবাহিত হয়ে যাবে।’
সাবেক কূটনৈতিক বলেন, কূটনীতির বাইরে একটি চুক্তির অর্থ হচ্ছে, এখানে আইনি বিধিবিধান নিয়ে সন্তুষ্টির বিষয় আছে। প্রত্যর্পণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যানের পরও দুটি দেশের মধ্যে দারুণ সম্পর্ক রয়েছে, বিশ্বে এমন অনেক উদাহরণ আছে।