বাংলাদেশ-আসাম সীমান্তে মানকাচরের অভিবাসনকেন্দ্র চালু

বাংলাদেশ ও ভারতের পতাকা

ভারতের আসাম রাজ্যের দক্ষিণ শালমারা জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাণিজ্য এবং অভিবাসনকেন্দ্র কোভিডের কারণে চার বছর ধরে বন্ধ ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে কেন্দ্রটি আবার চালু হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসামের রাজনৈতিক দল অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের বিধায়ক আমিনুল ইসলাম এবং প্রশাসনিক আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

আমিনুল ইসলাম বলেন, অভিবাসনকেন্দ্রটি বন্ধ থাকার কারণে বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা নিতে আসা মানুষ, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের বেশ অসুবিধা হচ্ছিল। আসামের মানুষেরও অসুবিধা হচ্ছিল।

আমিনুল বলেন, কেন্দ্রটি বন্ধ থাকার ফলে আসামের নিম্ন ও মধ্য অঞ্চলের মানুষকে মেঘালয়ের ডাউকি বা কলকাতা হয়ে বাংলাদেশে যেতে হচ্ছিল। এতে তাদের বেশ অসুবিধা হচ্ছিল।

শালমারার মানকাচরের অভিবাসনকেন্দ্রটি চালু হওয়ার ফলে দুই দেশের মধ্যে আন্তসীমান্ত চলাচল ও বাণিজ্য অতীতের মতোই সহজ হবে। প্রশাসনিক আধিকারিকেরা জানান, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার ফলে এই কেন্দ্রে মানুষের যাতায়াত দ্রুত বাড়বে বলে তাঁরা মনে করছেন।

আসামে বর্তমানে বাংলাদেশিদের জন্য দুটি অভিবাসনকেন্দ্র রয়েছে, একটি করিমগঞ্জ জেলার সুতারকান্দিতে। মহামারির সময় এই অভিবাসনকেন্দ্রটিও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তবে পরে চালু হয়। অন্যটি মানকাচরে। সেটিও এখন চালু হয়েছে।

বাংলাদেশের সঙ্গে আসামের ২৬২ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। সীমান্ত অঞ্চলে দুই দেশের মানুষের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ বলেও জানানো হয়।