আর জি করে ধর্ষণ-হত্যা: সপ্তম দিনে গড়াল চিকিৎসকদের অনশন
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় আর জি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার বিচার চেয়ে নবীন চিকিৎসকদের আমরণ অনশন কর্মসূচি আজ শুক্রবার সপ্তম দিনের মতো চলছে। ইতিমধ্যে তাঁদের একজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে এ হাসপাতালেরই নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আর জি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার বিচারের দাবিতে গত শনিবার থেকে কলকাতার ধর্মতলায় সাত নবীন চিকিৎসক আমরণ অনশন শুরু করেন।
নবীন চিকিৎসকদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে গতকাল বৃহস্পতিবার কলকাতার পি জি হাসপাতালের ৪০ জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক গণ–ইস্তফা দিয়েছেন। এর আগে আর জি কর হাসপাতালের ৫০ জন, উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫০ জন, ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ৩৪ জন এবং কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৭৫ জন জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকও গণ–ইস্তফা দেন।
আজ সকালে অনশন মঞ্চ থেকে জানানো হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অনশনকারী চিকিৎসকদের একজন অনিকেত মাহাতো গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর চিকিৎসায় চার সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাঁর পানিশূন্যতা দেখা দিয়েছে। অনশনের প্রভাব পড়েছে লিভার ও কিডনিতে। অনশনকালে ক্রমেই তাঁর অবস্থার অবনতি হয়।
নবীন চিকিৎসকেরা বলেন, অনিকেতের শারীরিক অবস্থার দায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিতে হবে।
এদিকে চিকিৎসকদের সংগঠন ফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (এফএআইএমএ) গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি দিয়ে নবীন চিকিৎসকদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। অনশনকারী চিকিৎসকদের দাবিকে ন্যায়সংগত বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। নবীন চিকিৎসকদের আশ্বস্ত করে চিঠিতে বলা হয়, সংগঠনটি নবীন চিকিৎসকদের পাশে আছে।
চিকিৎসকদের আরেক সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনও (আইএমএ) গতকাল বলেছে, নবীন চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবি বিলাসিতা নয়, চাইলেই এর সমাধান সম্ভব।
এদিকে নবীন চিকিৎসকদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে গতকাল কলকাতার পি জি হাসপাতালের ৪০ জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক গণ–ইস্তফা দিয়েছেন। এর আগে আর জি কর হাসপাতালের ৫০ জন, উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫০ জন, ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ৩৪ জন এবং কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৭৫ জন জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকও গণ–ইস্তফা দেন।