৭ রাজ্যে বিধানসভার উপনির্বাচনে বিজেপির বাজে ফল

পাঞ্জাবের বিধানসভায় এগিয়ে থাকা এএপি প্রার্থীর সমর্থকদের উল্লাস। আজ শনিবারছবি–এএনআই

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট আশানুরূপ ফল না করতে পারার পরে সাত রাজ্যের বিধানসভা উপনির্বাচনেও বেশ খারাপ করেছে। আজ শনিবার ১৩ আসনের উপনির্বাচনের ফল গণনা চলছে। ইতিমধ্যে ঘোষিত আটটির ফলাফলে ৫টি আসনে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট জিতেছে। বিজেপি জিতেছে দুই আসনে। স্বতন্ত্র জয় পেয়েছে এক আসনে। বাকি পাঁচটি বিজেপিবিরোধী জোট এগিয়ে রয়েছে।

ভোট গণনা এখনো চলছে। সন্ধ্যা নাগাদ পুরো ফল জানা যেতে পারে। হিমাচল প্রদেশের হামিরপুরে জিতেছে বিজেপি। কংগ্রেস জিতেছে দেহরা ও নালাগর, এই দুই আসনে। এই দুটির কোনোটিই আগেরবার কংগ্রেস পায়নি।

পশ্চিমবঙ্গে চার আসনের মধ্যে ইতিমধ্যে তিনটিতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল, যার দুটি তারা আগেরবার হারিয়েছিল বিজেপির কাছে। তবে বিজেপির যে প্রার্থী সেবারে রায়গঞ্জ আসনে জিতেছিলেন, সেই কৃষ্ণ কল্যাণীই এবার আবার জিতেছেন। তবে এবার তিনি তৃণমূলের প্রার্থী।

দিল্লির আম আদমি পার্টি (এএপি) পাঞ্জাবের জালান্দর পশ্চিম আসনে এগিয়ে রয়েছে। বিজেপি জিতেছে মধ্যপ্রদেশের আসনে।

এ ছাড়া গণনা চলছে এখনো ৫ আসনে। সব কটি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপিবিরোধী জোট। ইন্ডিয়া জোটের শরিক দ্রাবিড়া মুনেত্রা খাজাগম (ডিএমকে) তামিলনাড়ুর আসনে এগিয়ে রয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশ রাজ্যে ১৩ আসনে গত সপ্তাহে উপনির্বাচনে হয়েছে। এই ১৩ আসনের মধ্যে, বিজেপি, কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস প্রত্যেকের আগে দুটি আসন ছিল। একটি করে আসন ছিল উত্তর প্রদেশের বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) বিহারের জনতা দল (ইউনাইটেড), তামিলনাড়ুর দ্রাবিড়া মুনেত্রা খাজাগম (ডিএমকে) এবং একটি ছিল আপে। বাকি তিনটি আসন ছিল স্বতন্ত্র।

এবার পরিস্থিতি ভিন্ন দেখা যাচ্ছে। বিজেপি তাদের আসনে পিছিয়ে রয়েছে এবং কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস ও ডিএমকেসহ ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য দল বা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছে বা এগিয়ে রয়েছে প্রায় সব আসনে।

পশ্চিমবঙ্গের রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা এবং কলকাতার মানিকতলা—এই চার আসনে উপনির্বাচন হয়। এর মধ্যে রায়গঞ্জ, রানাঘাট ও বাগদা ইতিমধ্যেই জিতে গেছে তৃণমূল। এগিয়ে রয়েছে মানিকতলায়। ২০২১ সালে রায়গঞ্জ ও রানাঘাট তাদের হাতছাড়া হয়েছিল।

বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএর কোনো শরিক দলই এখন পর্যন্ত আশানুরূপ ফল করতে পারেনি। তবে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা শেষ পর্যন্ত কোন দলে যোগ দেন, এখন সেটাই দেখার।