ত্রিপুরায় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আবার নির্বাচনী প্রচারে নরেন্দ্র মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
রয়টার্স ফাইল ছবি

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আজ সোমবার আবার নির্বাচনী প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামীকাল মঙ্গলবার রাজ্যে শেষ হচ্ছে নির্বাচনী প্রচার। গত শনিবার তিনি রাজ্যে দুটি নির্বাচনী সভা করেছিলেন। ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন ১৬ ফেব্রুয়ারি। ২৭ ফেব্রুয়ারি আরও দুই উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচন হবে। এই তিন রাজ্যের ভোট গণনা হবে ২ মার্চ।

আজ সোমবার দুপুরে আগরতলার স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে নির্বাচনী সভায় বক্তৃতা করবেন প্রধানমন্ত্রী। আগের দিনের মতোই অত্যন্ত চড়া সুরে রাজ্যের বিরোধী জোট বাম ফ্রন্ট ও কংগ্রেসকে আক্রমণের পাশাপাশি আদিবাসী প্রধান দল তিপ্রা মথাকে প্রধানমন্ত্রী আক্রমণ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আজ তিনি আরও সরাসরি বিরোধীদের আক্রমণ করতে পারেন। কারণ, সাধারণত নির্বাচন যত এগিয়ে আসে, প্রধানমন্ত্রী ততই তাঁর আবেগপূর্ণ ভাষণের সুর আরও চড়া করেন।

গত শনিবার থেকে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) তাদের প্রচারে রীতিমতো ঝড় তুলেছে। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর প্রচারের পর গতকাল রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁর ভাষণে প্রবল আক্রমণ করেন বিরোধী জোটকে।

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় আগরতলার বড় অংশজুড়ে অমিত শাহ রোড শো করেন। এতে গাড়ি চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। হাজার হাজার কর্মী রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পুষ্পবৃষ্টি করেন।

তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে যেসব রাস্তা দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শোভাযাত্রা গেছে, তার পাশের রাস্তাতেই গণসমাবেশ করেছেন ত্রিপুরার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, রাজ্য কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা সুদীপ রায় বর্মণ থেকে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেসব সভায়ও হাজার হাজার মানুষের জমায়েত লক্ষ করা গেছে। আগরতলার মতো শহরে এগুলো বড় জমায়েতই বলা যায়।

আজ সোমবার সিপিআইএম নেতৃত্বও আগরতলার একাধিক জায়গায় গণসমাবেশ করবেন। মানিক সরকার ও সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী দুজনেই চৌধুরীর বিধানসভা কেন্দ্র বাংলাদেশ লাগোয়া দক্ষিণ ত্রিপুরার সাবরুমে মিটিং করবেন। আগরতলা শহরেও বাম ফ্রন্ট নেতৃত্বের গণসমাবেশ করার কথা রয়েছে, যেখানে কংগ্রেসের জাতীয় নেতৃত্বও উপস্থিত থাকতে পারেন।

নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে আজ থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত ও আসাম মিজোরামের সঙ্গে যুক্ত আন্তরাজ্য সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হবে। হোটেল, গেস্ট হাউস প্রভৃতি জায়গায়ও বহিরাগতদের পরিচয়পত্র দেখা হবে বলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে।