ভোটমুখী কাশ্মীরে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ, নিহত ২ জওয়ান ও ৩ জঙ্গি
ভোটের আবহের মধ্যেই কাশ্মীর ও জম্মু সীমান্তজুড়ে আবার শুরু হয়েছে জঙ্গি তৎপরতা। সেনা অভিযানে আজ শনিবার তিন জঙ্গি নিহত হলেও গতকাল শুক্রবার গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান সেনাবাহিনীর দুই জওয়ান, আহত হন আরও দুজন। এ পরিস্থিতিতে জম্মুর ডোডা জেলায় আজ নির্বাচনী প্রচারে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
গতকাল রাতে কিশতোয়ারের জঙ্গল এলাকায় অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। তাদের কাছে খবর ছিল, ওই জঙ্গলে কিছু সশস্ত্র জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে। তিন দিক দিয়ে ঘিরে তল্লাশির সময় জঙ্গিরা গুলি ছুড়তে শুরু করে বলে সেনাদের পক্ষে জানানো হয়। সেই অতর্কিত হামলায় চার জওয়ান গুলিবিদ্ধ হন। দুজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। বাকি দুই জওয়ানকে সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিহত দুই জওয়ানের একজন জুনিয়র কমিশনড অফিসার নায়েব সুবেদার বিপন কুমার, অন্যজন সেপাই অরবিন্দ সিং। কিশতোয়ার এলাকা দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার লাগোয়া।
কিশতোয়ারের মতো অভিযান চলে বারামুল্লাতেও। জম্মু–কাশ্মীর পুলিশের দাবি, সেই অভিযানে আজ তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে। গতকাল রাতে এই অঞ্চলেও পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়েছিল। আজ সরকারিভাবে জঙ্গি মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করা হয়।
দুই মাস ধরে কাশ্মীর উপত্যকার চেয়ে জম্মুর পাহাড়ি এলাকায় বেশি জঙ্গি তৎপরতা চলছে। জঙ্গিরা বেশ কয়েকটি নাশকতামূলক ঘটনাও ঘটিয়েছে। সেনা অভিযানও হচ্ছে এ তল্লাটেই বেশি। জওয়ানদের মৃত্যুও বেশি হচ্ছে এ অংশে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করছে, জম্মু–কাশ্মীর বিধানসভার নির্বাচন বানচাল করাই এ তৎপরতার মূল উদ্দেশ্য। তা রুখতে সেনাবাহিনীও সচেষ্ট। ডোডা, কাঠুয়া, কিশতোয়ার, বারামুল্লা, অনন্তনাগসহ বিভিন্ন উপদ্রুত অঞ্চলে চিরুনি তল্লাশি চালানো হচ্ছে নিয়মিত।
দীর্ঘ ১০ বছর পর জম্মু–কাশ্মীর বিধানসভার ভোট হতে চলেছে। তিন পর্যায়ের এই নির্বাচনের শুরু ১৮ সেপ্টেম্বর। প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রথম জনসভা করবেন আজ, ডোডায় স্থানীয় এক স্টেডিয়ামে। তাঁর নিরাপত্তায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে।