নির্বাচন ঘিরে ভারতে ‘বৃহত্তম শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি’ হয়েছে: রাহুল গান্ধী
ভারতে লোকসভা নির্বাচন ঘিরে এযাবৎকালের ‘সবচেয়ে বড় শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির’ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এই ‘কেলেঙ্কারির’ সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জড়িত বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে বিষয়টি তদন্তে একটি যৌথ পার্লামেন্টারি কমিটি (জেপিসি) গঠনের দাবি জানিয়েছেন রাহুল।
আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেন পাঁচ কোটি পরিবারকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন? এমন পরামর্শ দেওয়া কি তাঁদের কাজ? কেন তাঁরা এমন এক ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মালিকানাধীন গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিলেন, শেয়ারবাজারে কারসাজির অভিযোগে যে গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে তদন্ত করছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (এসইবিআই)?’
৪ জুন ভারতে লোকসভা নির্বাচনে ফল ঘোষণা করা হয়। এর আগে পয়লা জুন শেষ হয় সাত দফায় ভোট গ্রহণ। সে দিনই ভোটের বুথফেরত জরিপ প্রকাশ করে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সংস্থা। তাতে আভাস দেওয়া হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি লোকসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে। তবে প্রকাশিত ফল অনুযায়ী, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়ে জোট সরকার গঠনের পথে হাঁটতে হচ্ছে দলটিকে।
লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি চার শতাধিক আসন পাবে-এমন আশার কথা শুনিয়ে আসছিলেন মোদিও। নির্বাচন চলাকালে গত ২৩ মে নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে ৪ জুন বিজেপি রেকর্ডসংখ্যক আসন পাবে। আর শেয়ারবাজারের সূচকও রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছাবে। এর আগে ১৩ মে অমিত শাহ এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমার মতে, ৪ জুনের আগে (শেয়ার) কিনুন। শেয়ারবাজারের সূচক (এর পরে) বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে।’
শেয়ারবাজারের এই ‘কেলেঙ্কারিতে’ ভারতের বিনিয়োগকারীরা ৩০ লাখ কোটি রুপি হারিয়েছেন দাবি করে রাহুল গান্ধী বলেন, বিজেপি, ভুয়া বুথফেরত জরিপকারী ও সন্দেহজনক বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যকার সম্পর্কটা কী? এসব বিদেশি বিনিয়োগকারী বুথফেরত জরিপ ঘোষণার এক দিন আগে বিনিয়োগ করেছিল এবং পাঁচ কোটি পরিবারের ক্ষতি করে বিপুল মুনাফা হাতিয়ে নিয়েছে। জেপিসিকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে হবে।