ইউক্রেন সফরে মোদি, দেবেন শান্তি ফেরানোর পরামর্শ

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিফাইল ছবি: রয়টার্স

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ শুক্রবার ইউক্রেনে পৌঁছেছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। সফরে মোদি যুদ্ধ বন্ধে মীমাংসার জন্য চেষ্টা চালাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

ইউক্রেনে রুশ হামলার প্রায় আড়াই বছর পেরিয়েছে। সম্প্রতি রাশিয়ার ভূখণ্ডে বড় ধরনের পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এ অবস্থায় নিজেকে সম্ভাব্য শান্তি প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন মোদি।

সফর সামনে রেখে মোদি বলেছেন, যুদ্ধের ময়দানে কোনো সমস্যার সমাধান করা যায় না। যত দ্রুত সম্ভব শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফেরাতে ভারত সংলাপ ও কূটনীতিকে সমর্থন করবে। মোদি প্রথম কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী, যিনি ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন।

এদিকে রাশিয়ার পশ্চিমে কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেন আচমকা হামলা চালানোয় দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক অগ্রগতি আনার বিষয়টি আরও কঠিন হয়ে পড়েছে বলে মনে হচ্ছে।

ইউক্রেনের অনেকেই মোদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠজন বলে মনে করেন। ফলে মোদি একজন মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কতটুকু কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবেন, সেটিও স্পষ্ট নয়। তিনি গত জুলাই মাসে মস্কো সফরে গিয়ে পুতিনকে আলিঙ্গন করায় ইউক্রনবাসীর তীব্র নিন্দার মুখে পড়েছেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলমান রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংসার জন্য তিনি জেলেনস্কির সঙ্গে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় করবেন। একই সঙ্গে ভারত ও ইউক্রেনের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর করার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

আরও পড়ুন

গতকাল বৃহস্পতিবার পোল্যান্ডে ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেখান থেকেই আজ ইউক্রেনে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।

এ সফর উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মোদি বলেছেন, ‘বন্ধু ও অংশীদার রাষ্ট্র হিসেবে আমরা আশা করছি, এ অঞ্চলে (ইউক্রেন) দ্রুতই শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরবে।’

আর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, মোদির সঙ্গে সাক্ষাতে বেশ কিছু নথি স্বাক্ষরিত হতে পারে।

রাশিয়ার সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে ভালো সম্পর্ক ভারতের। এ ছাড়া আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীনকে মোকাবিলায় পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা অংশীদারত্বের সম্পর্ক বজায় রাখছে ভারত।

আরও পড়ুন

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর বিষয়ে কোনো রকম নিন্দা প্রকাশ করা থেকে বিরত ছিল ভারত। রাশিয়ার হামলার ঘটনায় দেশটির সমালোচনা করে জাতিসংঘের আনা প্রস্তাবের পক্ষেও ভোট দেয়নি দেশটি। পরিবর্তে দুই পক্ষকে সরাসরি সংলাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছিল ভারত।

রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে হামলার পর ইউক্রেনের সঙ্গে দুই দেশের শান্তি আলোচনার সম্ভাবনা আরও কঠিন হয়ে পড়ল।