মহারাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকের শুটাররা ভাড়া বাড়িতে ছিলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে রেকি

এনসিপি (অজিত পাওয়ার) নেতা বাবা সিদ্দিকছবি: বাবা সিদ্দিকের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

ভারতের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি-অজিত পাওয়ার) নেতা বাবা সিদ্দিক (৬৬) হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজন দাবি করেছেন, তাঁরা লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য। পুলিশের একাধিক সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে। তবে হত্যার দায় এখনো নেয়নি গ্যাংটি।

মহারাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিক গতকাল শনিবার রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা পূর্ব এলাকায় ছেলে জিশান সিদ্দিকের অফিসের বাইরে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। তিনি বান্দ্রা পশ্চিমের তিনবারের বিধায়ক।

দশেরা উৎসব চলাকালে বাবা সিদ্দিককে গুলি করা হয়। এই শুটিংয়ে তিন ব্যক্তি অংশ নেন।

বাবা সিদ্দিক হত্যায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপরজন পলাতক।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন হরিয়ানার গুরমাইল বলজিৎ সিং (২৩) ও উত্তর প্রদেশের ধর্মরাজ রাজেশ কাশ্যপ (১৯)।

একাধিক সূত্রের ভাষ্য, তিন সন্দেহভাজন ব্যক্তি পরিকল্পিত এই হত্যার কয়েক দিন আগে কুরিয়ারের মাধ্যমে অস্ত্র হাতে পেয়েছিলেন। তিন শুটার দুই মাস ধরে মুম্বাইয়ের কুরলা এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। বাসাভাড়া ছিল মাসে ১৪ হাজার রুপি।

বলা হচ্ছে, বাবা সিদ্দিককে হত্যার জন্য শুটারদের অগ্রিম তিন লাখ রুপি দেওয়া হয়েছিল। এই হত্যার চুক্তি নেওয়া চারজনের মধ্যে অর্থ ভাগ হওয়ার কথা।

গ্রেপ্তার দুজনকে সাত ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে মুম্বাই পুলিশের অপরাধ শাখা (ক্রাইম ব্রাঞ্চ)।

সূত্র বলছে, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দুই সন্দেহভাজন দাবি করেন, তাঁরা প্রায় এক মাস ধরে বান্দ্রা পূর্বের শুটিং স্পটটি (গুলির স্থান) রেকি করেছিলেন। তাঁরা বাবা সিদ্দিকের বাড়ি ও অফিস অনেক আগেই রেকি করেন।

সূত্র আরও জানায়, তিন সন্দেহভাজন ব্যক্তি একটি অটোরিকশায় করে শুটিং স্পটে এসেছিলেন। শুটিংয়ের আগে তাঁরা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছিলেন।

পুলিশের ধারণা, বাবা সিদ্দিকের অবস্থান সম্পর্কিত তথ্য অন্য কেউ এই তিন শুটারকে দিচ্ছিলেন।

বাবা সিদ্দিককে লক্ষ্য করে অন্তত ছয়টি গুলি করা হয়। এর মধ্যে চারটি গুলি তাঁর বুকে লাগে। এটি চুক্তিভিত্তিক হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা পুলিশের।

গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তির বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশ পুলিশের সাহায্য চেয়েছে মুম্বাই পুলিশ।

বাবা সিদ্দিক প্রায় পাঁচ দশক কংগ্রেসের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি এনসিপিতে (অজিত পাওয়ার) যোগ দেন।

আরও পড়ুন