দিল্লিতে ঘন কুয়াশা, বিপর্যস্ত বিমান ও ট্রেন চলাচল
রাজধানী দিল্লিসহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা আজ বুধবার ঢাকা পড়ল ঘন কুয়াশায়। গতকাল মঙ্গলবার সকালেও কুয়াশা ছিল, কিন্তু আজকের মতো এত ঘন নয়। কুয়াশার সঙ্গে চলছে তীব্র শীতের ছোবল। ফলে জনজীবন বিপর্যন্ত।
কুয়াশার কারণে দিল্লি বিমানবন্দরে সব রকমের উড়োজাহাজের ওঠানামা বন্ধ হয়ে যায়। কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, সকাল ১০টা পর্যন্ত ১১০টি উড়োজাহাজের সময় বদলে দিতে হয়েছে। বেলা ১১টার আগে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার আশা কম বলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের ধারণা।
ব্যাহত হয়েছে ট্রেন চলাচলও। উত্তর রেলওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অন্তত ২৫টি ট্রেনের সময়সূচি বদলানো হয়েছে। প্রায় সব ট্রেন চালাতে হচ্ছে ধীরগতিতে। এর ফলে কোন ট্রেন কখন গন্তব্যে পৌঁছাবে, তার কোনো হিসাব রেল কর্তৃপক্ষ দিতে পারছে না।
দিল্লিসহ গোটা উত্তর ভারতে বছরের এই সময় এমন কুয়াশা স্বাভাবিক। কুয়াশার কারণে সবচেয়ে বেশি ঘটে সড়ক দুর্ঘটনা। গতকালের মতো আজও তার অন্যথা হয়নি। দুর্ঘটনা সাধারণত বেশি হয় উত্তর ভারতের এক্সপ্রেসওয়েগুলোতে। এসব সড়কে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতি বেঁধে দেওয়া আছে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। গতির কারণেই তাই কোনো গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়লে পরপর আরও গাড়ি ধাক্কা খায়। আজ আগ্রা–লক্ষ্ণৌ এক্সপ্রেসওয়েতে ঠিক তেমনই হয়েছে। বহু গাড়ি পরস্পরকে পরপর ধাক্কা দেওয়ায় ১ জন নিহত ও অন্তত আরও ১২ জন আহত হন। উত্তর প্রদেশের বেরিলিতে একটা ট্রাক ধাক্কা দেয় এক বাড়িতে।
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, এমন ঘন কুয়াশা দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়াণা, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে চলবে। আজ কোনো কোনো স্থানে দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারে নেমে আসে। সেই কারণে বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। রাস্তায় গাড়ি চালাতে হয় আলো জ্বালিয়ে। পাঞ্জাবের অমৃতসরে তাপমান নেমে যায় শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ঘন কুয়াশার কারণে বায়ুদূষণের মাত্রাও তুলনামূলকভাবে বেড়ে গেছে। আজ সকালে রাজধানীর বায়ুদূষণের মান ‘অত্যন্ত খারাপ’।