‘কেজিএফ-২’ সিনেমার গান বাজিয়ে বিপাকে কংগ্রেস, টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধের নির্দেশ আদালতের
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের টুইটার অ্যাকাউন্ট সাময়িক বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বেঙ্গালুরুর একটি আদালত। দলটির নেতা ও পার্লামেন্ট সদস্য রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে চলমান ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ কর্মসূচিতে ‘কেজিএফ-২’ সিনেমার গান বাজানোয় মেধাস্বত্ব (কপিরাইট) আইনে একটি সংগীত প্রতিষ্ঠান মামলা করে। এরপর আদালত এই আদেশ দেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সংগীত প্রতিষ্ঠান এমআরটির ব্যবস্থাপক নবীন কুমার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সুপারহিট এই কন্নড় সিনেমার গান ব্যবহার করে মেধাস্বত্ব আইন ভঙ্গ করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
ভারত জোড়ো যাত্রার প্রচারে ব্যবহার করা টুইটার অ্যাকাউন্টও সাময়িক বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কর্ণাটক রাজ্যের এই আদালত। সংগীত প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপকের অভিযোগ, ভারত জোড়ো যাত্রার প্রচার ভিডিওতে ‘কেজিএফ-২’ সিনেমার গানগুলো ব্যবহার করা হয়েছে।
এক টুইটে কংগ্রেস বলেছে, তারা আদালতের কার্যক্রমের বিষয়ে অবহিত নয় এবং আদেশের কোনো অনুলিপি পায়নি।
টুইটে বলা হয়, ‘আইএনসি (ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস) এবং বিজেওয়াইয়ের (ভারত জোড়ো যাত্রা) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরু আদালতের একটি আদেশের বিষয়ে আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পেরেছি। আমরা আদালতের কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত বা উপস্থিত ছিলাম না। আদেশের কোনো অনুলিপিও পাওয়া যায়নি। আমাদের দিক থেকে আমরা সব রকম আইনি প্রতিকার অনুসরণ করছি।’
আদেশে আদালত বলেছেন, সংগীত প্রতিষ্ঠানটি একটি সিডি দেখিয়েছে, যাতে গানগুলোর মূল মেধাস্বত্ব সংস্করণের সঙ্গে ‘বেআইনিভাবে নিজেদের উপযোগী করে ব্যবহার করা’ সংস্করণটি মিলিয়ে দেখা হয়েছে।
আদালত বলেছে, প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তে দেখা গেছে এটি সংগীত প্রতিষ্ঠানটিকে ‘অপূরণীয় ক্ষতির মধ্যে ফেলতে পারে’ এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ড মেধাস্বত্ব চুরিকে উৎসাহিত করবে।
বেঙ্গালুরুর যশবন্তপুর থানায় করা ওই মামলায় সংগীত প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ যাত্রার দুটি ভিডিও টুইট করেছেন, যাতে অনুমতি ছাড়াই ‘কেজিএফ-২’–এর জনপ্রিয় গানগুলো ব্যবহার করা হয়েছে।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে গত ৮ সেপ্টেম্বর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরু করে কংগ্রেস। ৩ হাজার ৫৭০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে কাশ্মীরের শ্রীনগরে এ যাত্রা শেষ হবে। এখন পর্যন্ত তামিলনাড়ু, কেরালা, কর্ণাটক, অন্ধ্র প্রদেশ, তেলিঙ্গানা ও মহারাষ্ট্র পর্যন্ত এই কর্মসূচি হয়েছে।