বাংলাদেশের পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে আসবে: স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মোদির আশাবাদ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে শান্তি ফিরে আসবে বলে আশা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমি আশা করি, বাংলাদেশের পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে আসবে। ভারতের ১৪০ কোটি মানুষ চায়, বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ও সংখ্যালঘুরা নিরাপদ থাকুক।’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, তাঁর দেশ সব সময় প্রতিবেশী দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নে সমর্থন দিয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে আজ বৃহস্পতিবার এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যা কিছু হচ্ছে, সেটা নিয়ে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে চিন্তিত হওয়ার বিষয়টি আমি বুঝতে পারছি।’
মোদি আরও বলেন, ‘বিশেষ করে ১৪০ কোটি দেশবাসীর চিন্তা, ওখানকার হিন্দু, ওখানকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের সুরক্ষা সুনিশ্চিত হোক। ভারত সব সময় চায়, আমাদের প্রতিবেশী দেশ সুখ ও শান্তির পথে চলুক। শান্তির প্রতি আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এটা আমাদের ঐতিহ্য। আগামী দিনগুলোয় বাংলাদেশের উন্নয়নযাত্রায় আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষা থাকবে। কারণ, আমরা মানবজাতির ভালো চাওয়া মানুষ।’
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর বাংলাদেশে বেশ কিছু ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়, সরকার গঠন করার পর দেশের হিন্দু ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের আশ্বস্ত করতে গত মঙ্গলবার ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজধানী ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে যান এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি তাঁদের ‘ন্যায়বিচার’ ও ‘সম–অধিকার’ সুনিশ্চিত করার কথা বলেছেন।
সেদিন ড. ইউনূস বলেছিলেন, ‘সবার সমান অধিকার। আমরা সবাই এক, আমাদের অধিকারও এক। আমাদের ভেতর কোনো বিভেদ সৃষ্টি করবেন না। আমাদের সহায়তা করুন। ধৈর্য ধরুন এবং পরে বিচার করুন—আমরা কী করতে পেরেছি, আর কী পারিনি। যদি আমরা ব্যর্থ হই, তখন আমাদের সমালোচনা করবেন।’
প্রশাসন পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেছিলেন, হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত হতে হবে না।
৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকার শপথ গ্রহণ করে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি নতুন সরকারকে শুভকামনা জানিয়েছেন।