মণিপুর সংঘাত: আদালতকে দোষারোপ অমিত শাহের
মণিপুর হাইকোর্টের নাম উল্লেখ না করে আদালতের দেওয়া রায়ের সমালোচনা করলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আসামের রাজধানী গুয়াহাটিতে মণিপুরের বিধায়কদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে অমিত শাহ বলেন, গত ছয় বছরে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার মণিপুরে ক্ষমতায় আসার পরে কোনো বিস্ফোরণ বা ধর্মঘট হয়নি। অথচ আদেশটি সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলেছে।
মণিপুরের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার জন্য মণিপুর হাইকোর্টের সুপারিশকে কেন্দ্র করে ৩ মে থেকে চলা ধারাবাহিক সংঘর্ষে মণিপুরে অন্তত ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নষ্ট হয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। ঘরবাড়ি হারিয়ে ত্রাণশিবিরে রয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। মণিপুরের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘও।
তবে পরিস্থিতি যা–ই হোক না কেন, তা মোকাবিলায় নরেন্দ্র মোদির সরকার প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘সমস্যা যা–ই হোক না কেন, আমরা তার সমাধান করব...আলোচনার মাধ্যমেই শান্তি ফিরবে।’
আগামী সোমবার তিন দিনের সফরে মণিপুরে যাবেন অমিত শাহ। সেখানে তিনি সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বলেও জানিয়েছেন।
গত সপ্তাহের সুপ্রিম কোর্টে তাদের বক্তব্য জানিয়ে রাজ্য সরকার বলেছিল, মিয়ানমার থেকে আসা ‘বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের উচ্ছেদ করে আফিম চাষ এবং মাদক চোরাচালান বন্ধ করতে গিয়েই উত্তেজনা ছড়িয়েছে’। অর্থাৎ কার্যত সরকার স্বীকার করে নিয়েছিল, মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধের কারণেই বিপদে পড়েছে মণিপুর। গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরাসরি আদালতকে দোষারোপ করলেন সাম্প্রতিক সহিংসতার জন্য।
এদিকে গত ২০ ঘণ্টার মধ্যে অন্তত একটি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে মণিপুরে। পশ্চিম ইমফলের চিরিক লইটং গ্রামে অন্তত ১০ জন সশস্ত্র জঙ্গি এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে পরে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
ওই অঞ্চলে একটি খামারবাড়ি লুট করা হয়েছে এবং কিছু গরুও নিয়ে গিয়েছে জঙ্গিরা। এর চেয়ে বড় ধরনের কোনো অশান্তির ঘটনা গত ২৪ ঘণ্টায় সামনে আসেনি।