গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার অনুব্রতকে ‘বীরের সম্মান দিয়ে’ জেল থেকে বের করতে চান মমতা
গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে ‘বীরের সম্মান দিয়ে’ জেল থেকে বের করার প্রত্যয় ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে রাজ্যের তৃণমূল নেতা, সংসদ সদস্য, বিধায়কসহ পঞ্চায়েতের নেতাদের এক বিশাল সমাবেশে এ ঘোষণা দেন।
গতকালের সমাবেশে অনুব্রতের বিষয়ে এমন ঘোষণা দিলেও দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার দলের আরেক নেতা ও সাবেক মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিষয়ে একটি কথাও বলেননি মমতা।
রাজ্যের সাবেক শিক্ষা, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল দুজনেই এখন কারাগারে। শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পার্থ চট্টাপাধ্যায় স্কুলশিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির কারণে গ্রেপ্তার হন গত ২৩ জুলাই ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে।
আর অন্যজন বীরভূমের তৃণমূলের প্রভাবশালী নেত গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত হয়ে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হন গত ১১ আগস্ট। এ দুজন জামিন চেয়েও তা পাননি।
গতকালের সমাবেশে মমতা বলেন, তিন গুণ বেশি আন্দোলন করে এই রাজ্যপাট থেকে হটিয়ে দিতে হবে বিরোধীদের, বিজেপিকে। বিজেপির স্থান হবে না এ রাজ্যে। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে এ রাজ্য থেকে হটাতে হবে।
মমতা বলেন, বিজেপি ভেবেছে, অনুব্রতকে জেলে রেখে বীরভূমের লোকসভার দুটি আসন ছিনিয়ে নেবে? সে গুড়ে বালি। ভোটে এবারও জিততে পারবে না ওরা। গত ১৪ আগস্ট মমতা অনুব্রতের পাশে থাকার একই বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূলের এক সভায়। আবার নতুন করে বার্তা দিলেন গতকাল।
তবে কালকের সমাবেশে একসময়ের ডান হাত তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যাপারে একটি শব্দও ব্যয় করেননি মমতা। মমতা গতকাল আরও বলেছেন, ওরা তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে লাগিয়ে দিয়েছে। তাতে ভয় পায় না তৃণমূল।
মমতা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘আবার খেলা হবে চব্বিশে। তাই এজেন্সি দিয়ে তৃণমূলকে যত ভয় দেখাক না কেন বুঝবে চব্বিশে। লোসভার নির্বাচনে। আর ফিরতে পারবে না। যত ইচ্ছা যাকে ইচ্ছা অ্যারেস্ট করুক। আমরা এর বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে লড়ে নেব, আদালতে লড়ে নেব। জানবেন আহত সিংহ অনেক বেশি ভয়ঙ্কর।’
আর এসব ঘটনার পর কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সংসদ সদস্য অধীর চৌধুরী বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী এখন তো চোরের হয়ে ওকালতি করছেন। সময় এলে সব উল্টে যাবে। মানুষ আর দুর্নীতিবাজদের ঠাঁই দেবে না।