জোর করে ধর্মান্তর সংবিধান পরিপন্থী: ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
দাতব্য কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্যে ধর্মান্তর উচিত নয় বলে জোর দিয়ে বলেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে সর্বোচ্চ আদালত গতকাল সোমবার আবারও নিশ্চিত করেছেন, জোরপূর্বক ধর্মান্তর একটি ‘গুরুতর বিষয়’ এবং সংবিধানের পরিপন্থী। খবর এনডিটিভির
আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়ের করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট এসব কথা বলেছেন। ভয়ভীতি, হুমকি কিংবা উপহার ও আর্থিক সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে প্রতারণাপূর্ণ ধর্মান্তর বন্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলোর প্রতি নির্দেশনা চেয়ে এই আবেদন করা হয়।
কেন্দ্রীয় সরকার আদালতকে জানিয়েছে, এ ধরনের উপায়ে ধর্মান্তর করার বিষয়ে রাজ্যগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
বিচারপতি এমআর শাহ ও সিটি রবি কুমারের বেঞ্চের শুনানিতে উপস্থিত হয়ে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রদানের জন্য সময় আবেদন করেন। তিনি এক সপ্তাহ সময় আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, ‘দাতব্য কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্য ধর্মান্তর করা উচিত নয়। লোভ বিপজ্জনক।’ জোরপূর্বক ধর্মান্তর অত্যন্ত গুরুতর বিষয় বলেও স্বীকার করেন সর্বোচ্চ আদালত।
একজন আইনজীবী আবেদনের বাস্তবায়নযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললে আদালত বলেন, ‘এতটা প্রায়োগিক হতে যাবেন না। আমরা একটা সমাধান চাচ্ছি। আমরা এখানে একটা কারণ নিয়ে বসেছি। আমরা বিষয়গুলো ঠিক করতে চাই। যদি দাতব্য কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্য ভালো হয়, তাহলে স্বাগত জানাই। কিন্তু উদ্দেশ্যটা বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন।’
ওই আইনজীবীকে উদ্দেশ করে সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছেন, ‘এটাকে অকারণ বিরোধিতা হিসেবে নেবেন না। এটা অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। চূড়ান্ত পর্যায়ে এটা আমাদের সংবিধান পরিপন্থী। যখন যে কেউ ভারতে অবস্থান করেন, তাকে ভারতের সংস্কৃতিই মেনে চলতে হবে।’
১২ ডিসেম্বর এই আবেদনের বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।