বিবিসির দিল্লি ও মুম্বাই কার্যালয়ে আয়কর কর্মকর্তারা, নেওয়া হলো মুঠোফোন–ল্যাপটপ
বিবিসির দিল্লি ও মুম্বাই অফিসে ভারতের আয়কর কর্মকর্তারা তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন। গুজরাট দাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র সম্প্রচার নিয়ে বিতর্কের ঘটনার পর আজ মঙ্গলবার সকালে বিবিসির দিল্লি ও মুম্বাই কার্যালয়ে তল্লাশির জন্য ঢোকেন আয়কর কর্মকর্তারা। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, তল্লাশি নয়, ‘আয়কর জরিপের’ অংশ হিসেবে তাঁরা বিবিসির কার্যালয় পরিদর্শনে গেছেন।
বিবিসির প্রামাণ্যচিত্রে প্রধানত দেখানো হয়েছে, কীভাবে ২০০২ সালে গুজরাটের দাঙ্গাকে ব্যবহার করে ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলেন। এমন অনেক কথাই প্রামাণ্যচিত্রেতে বলা হয়েছে, যা নতুন নয়। কিন্তু যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত এক জায়গায় এনে বিবিসি একটি তত্ত্ব দাঁড় করিয়েছে। তত্ত্বটি হলো, গুজরাট দাঙ্গা মোদিকে প্রধানমন্ত্রী হতে সাহায্য করেছে।
এই প্রক্রিয়ায় কীভাবে তাঁর দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) এবং হিন্দুত্ববাদী নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি ভারতের বিচারব্যবস্থা তাঁকে সাহায্য করেছে, তা দেখানো হয়েছে ছবিতে। বিবিসি ২ নামে যুক্তরাজ্যের চ্যানেলটিতে ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোশ্চেন’ তথ্যচিত্রটি গত মাসে ব্রিটেনে সম্প্রচারের পর এটি নিয়ে কার্যত ঝড় বয়ে যাচ্ছে ভারতে।
একটি সূত্রের বরাত দিয়ে আজ এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক কর ও স্থানান্তর মূল্যের অনিয়মে বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে একটি জরিপ চালিয়েছিলেন ইনকাম ট্যাক্স অফিসের কর্মকর্তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতেই আজ তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকজন সাংবাদিকের মুঠোফোন, ল্যাপটপ কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
তবে কর কর্মকর্তারা বলছেন, এটা কোনো তল্লাশি নয়। এটা আয়কর জরিপের একটা অংশ। বিবিসির কর্মকর্তাদের মুঠোফোনসহ অন্যান্য জিনিস ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
আয়কর অফিসের একটি সূত্র বলছে, ‘আমাদের কর্মকর্তারা অ্যাকউন্ট বুক চেক করতে গেছেন, এটা তল্লাশি নয়।’