সোফা। সাধারণত মানুষ বসার ঘরেই এই আসবাব রাখেন। নরম সোফায় বসে গল্প করতে করতে অনেকে অনেক সময় শুয়ে পড়েন। অনেকে সেখানে শুয়ে গল্পের বই পড়েন আবার অনেকে ঘুমটাও সেরে নেন। অনেকের মনে ইচ্ছা জাগে, আহা! গাড়ির আসন যদি বাড়ির সোফার মতো হতো!
সেই ভাবনা থেকেই কি না, অবশ্য জানা যায়নি; সেই সোফাকেই গাড়ি বানিয়ে দিব্যি রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন দুই ব্যক্তি। এমন একটি ভিডিও ভারতের শিল্পপতি মাহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান আনন্দ মাহিন্দ্রা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন।
মাহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান আনন্দর এক্সে (সাবেক টুইটার) অনুসারী ১ কোটি ৯ লাখ। তিনি নিয়মিত মজার, অনুপ্রেরণাদায়ক এবং চলমান নানা ঘটনা এক্সে দিয়ে থাকেন। সম্প্রতি তিনি এই দুই ব্যক্তির সোফা গাড়িতে চড়ার ভিডিও তাঁর অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন।
তিন বছরের পুরোনো ভিডিওটিতে দেখা গেছে, গতানুগতিক সোফাকে অসাধারণভাবে ‘সোফা গাড়ি’-তে রূপান্তর করা হয়েছে।
ভিডিওটি শেয়ার করে আনন্দ মাহিন্দ্রা লিখেছেন, এটি একটি মজার প্রকল্প। তবে হ্যাঁ, এই গাড়ি তৈরির পেছনে যে আগ্রহ ও প্রকৌশলচেষ্টার দিকে একটু তাকান। যদি একটি দেশকে মোটরগাড়িশিল্পে বড় হতে হয়, তাহলে এমন ‘গ্যারেজ’ উদ্ভাবন দরকার।
১ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে দুই তরুণ অনলাইন স্টোর থেকে সোফা কেনা থেকে শুরু করে এর সঙ্গে মোটর, চাকা যুক্ত করাসহ পুরো সোফা গাড়ি তৈরির প্রক্রিয়াটি দেখান।
গাড়িটি কীভাবে কাজ করে, সে সম্পর্কে জানা যায়। সেটার স্টিয়ারিং এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে স্টিয়ারিং লিভার ডানে-বাঁয়ে ঘোরানো যায়। স্টিয়ারিং লিভারের সঙ্গে ব্রেক করার ব্যবস্থাও জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
আনন্দ মাহিন্দ্রার মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী অনেকেই এ উদ্ভাবনের প্রশংসা করেছেন। একজন লিখেছেন, ‘এ জন্য অর্থের প্রয়োজন। আমি মনে করি, আপনার মতো শিল্পপতিদের এ জন্য একটি তহবিল গঠন করা উচিত। যেখান থেকে এমন উদ্ভাবনী কাজে অর্থ ব্যবহার করা যায়। বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান বলে থাকে, তারা অনেক করছে। কিন্তু সত্যি বলতে কি, এ ক্ষেত্রে কেউই তেমন কিছু করছে না।’
আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘পুরো ভিডিও দেখার আগে আমি মনে করেছি, এটি হয়তো কোনো অ্যানিমেশন।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘ধারণাটি বেশ আনন্দের। কল্পনা করুন, অনেক সোফা রাস্তার গড়িয়ে যাচ্ছে, একে অন্যকে টেক্কা দিচ্ছে বা একে অন্যের সঙ্গে ধাক্কা খাচ্ছে! মানুষ থেকে শুরু করে পশুপাখি—সবাই বিভ্রান্ত হবে।’