মা ও নেহরু শারীরিক সম্পর্কের সুযোগ পাননি: পামেলা

ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু ও ভারতের শেষ ভাইসরয়ের স্ত্রী এডউইনা মাউন্টব্যাটেন। ফাইল ছবি: সংগৃহীত
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু ও ভারতের শেষ ভাইসরয়ের স্ত্রী এডউইনা মাউন্টব্যাটেন। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু ও ভারতের শেষ ভাইসরয়ের স্ত্রী এডউইনা মাউন্টব্যাটেন একে অপরকে খুব ভালোবাসতেন। শ্রদ্ধা করতেন। কিন্তু তাঁরা কখনো একা হতে পারেননি। তাই তাঁরা শারীরিক সংসর্গের সুযোগও পাননি।

নিজের মা এডউইনা মাউন্টব্যাটেন ও জওহরলাল নেহরুর সম্পর্ক নিয়ে এমন দাবি করেছেন ভারতের শেষ ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেনের মেয়ে পামেলা হিকস নি মাউন্টব্যাটেন।

আজ রোববার ভারতের শীর্ষ গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, লর্ড মাউন্টব্যাটেনের মেয়ে পামেলা হিকস নি মাউন্টব্যাটেন ‘ডটার অব এম্পায়ার: লাইফ অ্যাজ অ্যা মাউন্টব্যাটেন’ শীর্ষক একটি বই লিখেছেন। ওই বইয়ে তিনি এসব কথা লিখেছেন।

পামেলা বলেন, শেষ ভাইসরয় হিসেবে লর্ড মাউন্টব্যাটেন যখন ভারতে আসেন, তখন পামেলার বয়স ১৭। তাই তিনি খুব কাছ থেকে মা এডউইনা ও নেহরুর সম্পর্ক পর্যবেক্ষণ করতে পেরেছিলেন।

পামেলা বলেন, ‘নেহরুর বন্ধুত্ব, ভাবনা ও বুদ্ধিমত্তায় মা আকৃষ্ট হয়েছিলেন। এগুলো মা বেশ উপভোগ করতেন।’

পামেলা হিকস নি মাউন্টব্যাটেন। ছবি: সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম থেকে নেওয়া
পামেলা হিকস নি মাউন্টব্যাটেন। ছবি: সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম থেকে নেওয়া

প্রতিবেদনে বলা হয়, মা এডউইনা ও নেহরুর সম্পর্কের বিষয়ে বিশদ জানার আগ্রহ ছিল পামেলার। এ জন্য তাঁদের পরস্পরকে পাঠানো কিছু ব্যক্তিগত চিঠি তিনি পড়েছিলেন। সেখান থেকেই তিনি জেনেছিলেন, এডউইনা ও নেহরু পরস্পরকে অসম্ভব ভালোবাসেন এবং শ্রদ্ধা করেন।

পামেলা বলেন, ‘মা ও নেহরুর সম্পর্কটা শারীরিক সম্পর্কের দিকে গড়িয়েছিল কি না, তা জানার অনেক আগ্রহ ছিল। কিন্তু চিঠিগুলো পড়ে আমি নিশ্চিত হয়েছি যে তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়নি। তাঁরা দুজন কখনো সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে একা হতে পারেননি। কারণ সব সময় পুলিশ, সরকারি কর্মকর্তা ও অন্যান্য মানুষ তাঁদের সঙ্গে সঙ্গেই থাকতেন। এ কারণেই তাঁরা শারীরিক সংসর্গের সুযোগ পাননি।’

পামেলা তাঁর বইয়ে লিখেছেন, ‘ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় নেহরুকে একটি পান্নার আংটি দিতে চেয়েছিলেন মা এডউইনা। মা জানতেন, সেটা তিনি নেবেন না। পরে মা আংটিটি নেহরুর মেয়ে ইন্দিরা গান্ধীকে দিয়ে বলেছিলেন, যদি তিনি (নেহরু) কখনো আর্থিক সংকটে পড়েন, তাহলে চাইলে আংটিটি তাঁর জন্য বিক্রি করে দিতে পারেন।’

লর্ড মাউন্টব্যাটেনের বিদায় অনুষ্ঠানে জওহরলাল নেহরু এডউইনাকে সরাসরি উদ্দেশ করে বলেছিলেন, ‘আপনি যেখানেই যান না কেন, আমাদের আপনি আশা ও উৎসাহ দিয়ে গেলেন। ভারতের জনগণ আপনাকে ভালোবাসবে, তাদেরই একজন হিসেবে আপনাকে দেখবে। আপনার চলে যাওয়া তারা দুঃখিত।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ডটার অব এম্পায়ার: লাইফ অ্যাজ অ্যা মাউন্টব্যাটেন’ বইটি ২০১২ সালে যুক্তরাজ্যে প্রথম প্রকাশিত হয়। পরে তা পেপারব্যাক আকারে ভারতে নিয়ে আসা হয়৷