বিশ্বব্যবস্থা এখন এমন এক হুমকির মুখে রয়েছে, যা স্নায়ুযুদ্ধের পর আর দেখা যায়নি। বিশ্ববাসীকে সতর্ক করে এ কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর প্রধান উইলিয়াম বার্নস ও যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান রিচার্ড মুর। একই সঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনে ভ্লাদিমির পুতিনের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধ মোকাবিলায় দুই দেশ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাবে।
শনিবার ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে বার্নস ও মুরের একটি যৌথ নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। প্রথমবারের মতো লেখা যৌথ নিবন্ধে বিশ্বব্যবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখেছেন তাঁরা।
নিবন্ধে বার্নস ও মুর লিখেছেন, ইউক্রেনে যে যুদ্ধ আসন্ন সেটা তারা আগেই আঁচ করতে পেরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করেছিলেন। এ ছাড়া ইউক্রেনকে সাহায্যে গোপন তথ্যও প্রকাশ করা হয়।
মার্কিন ও ব্রিটিশ গোয়েন্দাপ্রধান বলেছেন, ইউরোপজুড়ে রাশিয়ার বেপরোয়া নাশকতামূলক তৎপরতার লাগাম টেনে ধরতে কাজ করা হচ্ছে। পাশাপাশি গাজা যুদ্ধ বন্ধ ও পুনরায় উত্থান ঘটানো জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) প্রতিহতের অংশ হিসেবে সন্ত্রাসবাদবিরোধী তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
শনিবার লন্ডনে এক নিরাপত্তা সম্মেলনেও বার্নস ও মুরকে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে একসঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে।
যৌথ নিবন্ধে বার্নস ও মুর লিখেছেন, ‘এ ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন নেই যে বিশ্বব্যবস্থা এখন স্নায়ুযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে রয়েছে।’ সফলভাবে এই হুমকি মোকাবিলা করাই যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যকার বিশেষ সম্পর্কের ভিত্তি।
মার্কিন ও ব্রিটিশ গোয়েন্দাপ্রধানের মতে, দুই দেশই এখন যে একগুচ্ছ নজিরবিহীন হুমকির মুখোমুখি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হওয়া ইউক্রেন যুদ্ধ তার একটি। তাঁরা লিখেছেন, ইউক্রেনকে সহযোগিতার প্রশ্নে একতাবদ্ধ থাকাটা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দুই গোয়েন্দাপ্রধানের ধারণা, এই যুদ্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সফল হবেন না।
সিআইএ ও এমআই৬ চীনকে চলতি শতকের প্রধান গোয়েন্দা ও ভূরাজনৈতিক হুমকি হিসেবে দেখছে বলে জানিয়েছেন বার্নস ও মুর। একই সঙ্গে দুই গোয়েন্দাপ্রধানের দাবি, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফেরাতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা।