খনির খননযন্ত্রের ভেতর দিয়ে টানেলের ১০০ ফুট গভীরে পড়ে গিয়েছিল একটি পোষা বিড়াল। কোথায় গেল, কোথায় গেল—হন্যে হয়ে তাকে খুঁজছিলেন মালিক মিশেল রোজ। একপর্যায়ে সব আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ছয় দিন পর উদ্ধার হয় সেই বিড়াল মোগলি।
মিশেল বলেন, মোগলি হারিয়ে যাওয়ার পর তাঁর কুকুর ডেইজি উদ্ভ্রান্ত হয়ে ওঠে। হ্যারোবারোতে তাঁদের বাড়ির কাছের জঙ্গলের ভেতরে–বাইরে দৌড়ে দৌড়ে ডেইজি মোগলিকে খুঁজতে থাকে। এর মাধ্যমেই মোগলি উদ্ধার হয়।
মালিক মিশেল বলেন, ‘ডেইজি তাকে গাইড করে ফুটপাত ধরে প্রিন্স অব ওয়েলসের একটি পুরোনো খনির দিকে নিয়ে যায়। খনির পাশে সে থমকে দাঁড়ায়।’
মিশেল বলেন, ‘ডেইজিকে ছাড়া মোগলি এখনো সেখানে পড়ে থাকত, আমি নিশ্চিত। ডেইজি তাকে অনুসরণ করার জন্য আমার পেছনে নাছোড়বান্দার মতো লেগে ছিল।’
মোগলিকে উদ্ধারে এবং পশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা ঠেকাতে দ্য রয়াল সোসাইটি (আরএসপিসিএ) এবং কর্নওয়াল ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু প্রথম দিন ঘুটঘুটে অন্ধকার থাকায় সেখানে নামা যায়নি বলে জানায় আরএসপিসিএ।
পরদিন সকালে আরএসপিসিএর পশু উদ্ধারকারী কর্মকর্তা স্টিফেন ফাইন্ডলো মোগলিকে দেখতে পান। মোগলি তখন ১০০ ফুট গভীরে পড়ে ছিল। তবে সে সৌভাগ্যক্রমে অক্ষত ছিল। সেখান থেকে তাকে নিরাপদে এটিকে তুলে আনা হয়।
মিশেলের পরিবারে আরেকটি বিড়াল আছে। সেটির নাম বালো। মিশেল বলেন, গত বছরের ডিসেম্বরে তিনি মোগলি ও বালোকে তাঁর বাসায় নিয়ে আসেন। আর আগে থেকেই ছিল এক বছর বয়সী ডেইজি।