মাস্ক ব্যবহারে করোনার সংক্রমণ কমে ৫৩%: গবেষণা
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করেছে। বিপরীতে করোনা ঠেকাতে টিকাদান কার্যক্রম বাড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি মাস্ক ব্যবহার, হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, শুধু মাস্ক ব্যবহারে সংক্রমণের ঘটনা ৫৩ শতাংশ কমে। আজ বৃহস্পতিবার দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায়।
যুক্তরাজ্যের দ্য বিএমজে সাময়িকীতে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। এতে গবেষকেরা লিখেছেন, করোনার সংক্রমণ কমাতে ব্যক্তিগত ও সামাজিক সুরক্ষার ব্যবস্থাগুলো কাজ করে বলে গবেষণায় ইঙ্গিত মিলেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে হাত ধোয়া, মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা।
গবেষণা যুক্ত ছিলেন মনাশ ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অব এডিনবরার গবেষকেরা। তাঁরা বলেছেন, করোনা ঠেকাতে টিকাদান কর্মসূচির পাশাপাশি হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক পরা যে গুরুত্বপূর্ণ, সে বিষয় গবেষণায় উঠে এসেছে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলে সংক্রমণ ২৫ শতাংশ কমানো সম্ভব হয়। নিয়মিত হাত ধোয়ায় সংক্রমণ কমানো যায় ৫৩ শতাংশ। তবে হাত ধোয়ার ক্ষেত্রে যে গবেষণা হয়েছে, তা সংখ্যায় নগণ্য। এ ছাড়া শুধু মাস্ক ব্যবহারে সংক্রমণ কমে ৫৩ শতাংশ। বিশ্বজুড়ে হওয়া ৩০টির বেশি গবেষণার ফলাফল পর্যালোচনা করে গবেষকেরা এসব তথ্য পেয়েছেন।
দ্য গার্ডিয়ান জানায়, করোনার যে টিকাগুলো দেশে দেশে প্রয়োগ করা হচ্ছে, সেগুলো নিরাপদ ও কার্যকর। এই টিকা জীবন রক্ষা করছে। তবে অধিকাংশ টিকা শতভাগ সুরক্ষা দেয় না। এ ছাড়া অধিকাংশ দেশ এখনো সবার জন্য টিকার ব্যবস্থা করতে পারেনি। বিদ্যমান টিকা করোনার ভবিষ্যৎ ভেরিয়েন্ট থেকে সুরক্ষা দেবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। এ কারণে করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য মাস্ক ব্যবহারসহ অন্যান্য বিধি অনুসরণ গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্বজুড়ে করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা চলতি মাসে ২৫ কোটি ছাড়িয়েছে। ডেলটার মতো অধিক সংক্রমণের ক্ষমতাসম্পন্ন ভেরিয়েন্টের কারণে এখনো বিশ্বে প্রতি ৯০ দিনে ৫ কোটি মানুষ করোনায় সংক্রমিত হচ্ছেন। প্রতিদিন হাজারো মানুষ করোনায় মারা যাচ্ছেন।