২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

জনগণকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বলল আর্মেনিয়া

আর্মেনীয় বাহিনীর গোলায় জ্বলছে আজারবাইজানের ট্যাংক
এএফপি

নাগোরনো–কারাবাখ নিয়ে অনেক বছর ধরেই বৈরী সম্পর্ক আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে। সে উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। দুই দেশের সীমান্তে আজ রোববার ইয়েরেভান এবং আজেরি বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ও গোলাগুলির পর পরিস্থিতি যুদ্ধাবস্থায় উপনীত হয়েছে। এ অবস্থায় সামরিক আইন জারি করে নিজ জনগণকে দেশ রক্ষার প্রস্তুতি নিতে বলেছে আর্মেনিয়া সরকার।

ওই সংঘর্ষ ও উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার পেছনে ইয়েরেভান ও বাকু একে অপরকে দায়ী করেছে। আর্মেনিয়া বলেছে, প্রথমে আজেরি বাহিনী নাগোরনো–কারাবাখ অঞ্চলে তাদের বাহিনী লক্ষ্য করে গোলা ছুড়েছে। আর আজারবাইজানের অভিযোগ, আর্মেনিয়ার বাহিনীই প্রথম আজেরি সেনা ও দেশটির বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করেছে।

সংঘর্ষে দুই পক্ষে প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো স্পষ্ট নয়। তবে আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, আজেরি সেনাদের হামলায় অজ্ঞাতসংখ্যক বেসামরিক লোক প্রাণ হারিয়েছেন।

১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর মূলত জাতিগত আর্মেনীয় অঞ্চল নাগোরনো–কারাবাখ স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়। এরপর থেকেই একে নিয়ে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। পরে ১৯৯৪ সালে যুদ্ধবিরতিতে উপনীত হলেও নাগোরনো–কারাবাখ ও সীমান্তবর্তী এলাকায় অব্যাহতভাবে হামলার অভিযোগ করে আসছে দুই দেশ।

আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, আজারবাইজানের হামলার জবাবে আর্মেনীয় সেনারা তাদের তিনটি ট্যাংক ধ্বংস এবং দুটি হেলিকপ্টার ও তিনটি মনুষ্যবিহীন আকাশযান ভূপাতিত করেছে। বর্তমান পরিস্থিতির জন্য আজারবাইজানের বেসামরিক ও সামরিক নেতাদের পূর্ণ দায়দায়িত্ব নিতে হবে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে সতর্ক করে বলেছে, আজারবাইজানের হামলার ‘যথাযথ সামরিক ও রাজনৈতিক জবাব’ দেওয়া হবে।

অন্যদিকে আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আর্মেনিয়ার বক্তব্য নাকচ করে বলেছে, সীমান্তে শত্রুদের হটিয়ে দিয়েছে তাদের সেনাবাহিনী। এর আগে আর্মেনিয়ার ব্যাপক গোলাবর্ষণে তাদের দেশের কিছু বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন।

আর্মেনিয়ায় সামরিক আইন
আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশেনিয়ান আজ বলেছেন, আজারবাইজানের সঙ্গে সংঘর্ষের পর তাঁর দেশে সামরিক আইন জারি করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে দেশকে রক্ষায় জনগণকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
ওদিকে টান টান উত্তেজনার মধ্যে আজ দুদেশের প্রতি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছার ও আলোচনা শুরুর আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া।