যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা নির্বাচিত হয়েছেন কেমি বেইডনক। ঋষি সুনাকের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার দৌড়ে পাঁচটি ধাপ পেরিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। এর ফলে তিনি যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে তিনি প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ কনজারভেটিভ নেতা নির্বাচিত হলেন বেইডনক।
কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান হওয়ার দৌড়ে ১৫ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত কেমি বেইডনক ও রবার্ট জেনরিকের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। দলীয় সদস্যরা অনলাইনে ও সরাসরি ভোটের মাধ্যমে তাঁদের ভবিষ্যৎ নেতাকে ভোট দেন। অবেশেষে আজ শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে কেমি বেইডনককে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
কনজারভেটিভ পার্টির সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচিত হওয়াকে ‘বিশাল সম্মান’ বলে বর্ণনা করেছেন কেমি বেইডনক। তিনি লেবার পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকারকে জবাবদিহির মধ্যে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কেমি বেইডনককে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও লেবার পার্টির প্রধান কিয়ার স্টারমার। তিনি বলেছেন, কনজারভেটিভ পার্টির প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নেতা যুক্তরাজ্যের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত। বেইডনকের উদ্দেশে স্টারমার বলেন, ‘আমি ব্রিটিশ জনগণের স্বার্থে আপনার এবং আপনার দলের সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ।’
কনজারভেটিভ পার্টির সাবেক নেতারা কেমি বেইডনককে ঘিরে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, ‘আসুন, আমরা তাঁর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হই। যিনি আমাদের দলকে পুনর্গঠন করে দলীয় মূল্যবোধের পক্ষে দাঁড়াবেন এবং লেবার পার্টির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিয়ে যাবেন।’
আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নতুন নেতা বেইডনকের সাহস ও স্পষ্টবাদিতার প্রশংসা করে বলেছেন, কেমি বেইডনক প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের ব্যর্থতা প্রকাশ করে দিতে পারবেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে ফল করে তৎকালীন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি। পরদিন ৫ জুলাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক দলীয় প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।