নেতানিয়াহুকে বাতিলের খাতায় ফেলেছি: এরদোয়ান
ইসরায়েলে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করেছে তুরস্ক। একই সঙ্গে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনা বন্ধ করে দিয়েছে আঙ্কারা। নেতানিয়াহুকে বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় মানবিক ট্র্যাজেডি ও যুদ্ধবিরতির আহ্বান ইসরায়েলের প্রত্যাখ্যানের কথা উল্লেখ করে গতকাল শনিবার তুরস্ক রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়।
গতকাল তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে ক্রমাগত হামলাসহ যুদ্ধবিরতিতে ইসরায়েলের অস্বীকৃতির কারণে গাজায় উদ্ভূত মানবিক ট্র্যাজেডির জেরে আঙ্কারা রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০১৮ সালে ফিলিস্তিনিদের হত্যার প্রতিবাদে ইসরায়েল থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করেছিল তুরস্ক। এ ঘটনার চার বছর পর ২০২২ সালে আবার ইসরায়েলে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেয় তুরস্ক। এখন তুরস্ক আবার রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করল।
আঙ্কারার সবশেষ এ পদক্ষেপে প্রতীয়মান হয়, তুরস্ক-ইসরায়েলের মধ্যকার সম্পর্কে উত্তেজনা বেড়ে চলছে।
এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁর সরকার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করবে।
এরদোয়ানকে উদ্ধৃত করে তুর্কি গণমাধ্যম বলেছে, ‘নেতানিয়াহু আর এমন কেউ নন, যাঁর সঙ্গে আমরা কথা বলতে পারি। আমরা তাঁকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছি।’
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি ব্যক্তি নিহত হন। এ ছাড়া দুই শতাধিক ব্যক্তিকে ইসরায়েল থেকে ধরে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে রেখেছে হামাস।
৭ অক্টোবর থেকে গাজাকে অবরুদ্ধ করে নির্বিচার বোমা হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। গাজায় স্থল অভিযানও চালাচ্ছে ইসরায়েল। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৯ হাজার ৪০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।