যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে বড় ব্যবধানে এগিয়ে লেবার পার্টি

যুক্তরাজ্যের বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার ও তাঁর স্ত্রী ভিক্টোরিয়া স্টারমারকে ঘিরে মানুষের ভিড়। লন্ডনে ভোট গণনা চলাকালে একটি কেন্দ্রেছবি: রয়টার্স

যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে ফল ঘোষণা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত বিরোধী দল লেবার পার্টি ২৭৪ আসনে জয়ী হয়েছে। আর কনজারভেটিভ পার্টি ৪৯টি আসনে জয় পেয়েছে। আর লিবারেল ডেমোক্র্যাটস পার্টি জয় পেয়েছে ৩৩টি আসনে।

আশা করা হচ্ছে, লেবার পার্টি ৪১০ আসনে জয় পাবে। আর কনজারভেটিভ পার্টি জয় পাবে ১৩১ আসনে।

সামাজিক মাধ্যমে লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার হলবন ও সেন্ট প্যানক্রাস আসনে জয়ের পর বলেছেন, ‘পরিবর্তন  শুরু হয়েছে...এখন আমাদের দেওয়ার সময়।’

আরও পড়ুন

লেবার পার্টির এই নেতা হলবন ও সেন্ট প্যানক্রাসের জয়কে বড় পাওয়া হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, ‘এটা আমার বাড়ি। যেখানে আমার সন্তানেরা বড় হয়েছে। আমার স্ত্রীর জন্ম হয়েছে।’ তিনি ভালোবাসা ও সমর্থনের জন্য পরিবারকে ধন্যবাদ জানান।  

কনজারভেটিভ পার্টির জ্যাকব রিসমগ বলেন, রাতটি দলের জন্য খুবই হৃদয়বিদারক।

বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণ শেষে বুথফেরত জরিপ বলছে,  নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পথে রয়েছে বিরোধী দল লেবার পার্টি। ভোটের চূড়ান্ত ফল একই হলে যুক্তরাজ্যে টানা ১৪ বছর পর ক্ষমতা থেকে সরবে কনজারভেটিভ পার্টি। বিদায় নেবেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।

আরও পড়ুন

ধারণা করা হচ্ছে, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে লেবার পার্টি সরকার গড়লে যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন কিয়ার স্টারমার ।

আরও পড়ুন

স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা থেকে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলে রাত ১০টা পর্যন্ত।

এবারের নির্বাচনে ছোট-বড় মিলিয়ে অন্তত ৯৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। ৩৫টি রাজনৈতিক দল মাত্র একজন করে প্রার্থী দেয়।

রেকর্ড ভেঙে এবার ৪ হাজার ৫১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। একেকটি আসনে গড়ে ৭ জন করে প্রার্থী। ৩১৭টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪৫৯ জন।

যুক্তরাজ্যে এবারের সাধারণ নির্বাচনে বিভিন্ন দলের মনোনয়নে প্রার্থী হন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। এর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন কেউ কেউ। সব মিলিয়ে অন্তত ৩৪ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই গণনা শুরু হয়। নিয়ম অনুযায়ী, সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া দলকে সরকার গঠন ও দলের নেতাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আহ্বান জানাবেন যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লস।

দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া দল পার্লামেন্টে প্রধান বিরোধী দল হবে। আর দলটির নেতা প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা হবেন।

৯ জুলাই নতুন পার্লামেন্ট সদস্যদের শপথ গ্রহণ ও স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৭ জুলাই রাজা তৃতীয় চার্লসের উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে নতুন সরকারের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে।