বার্লিনে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি সমাবেশ নিষিদ্ধ

ইসরায়েলি হামলার শিকার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বার্লিনে মিছিল হয়। ৪ নভেম্বর, জার্মানিছবি: সরাফ আহমেদ

নববর্ষের প্রাক্কালে জার্মানির বার্লিনে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ। শহরটিতে ফিলিস্তিনপন্থী একাধিক সংগঠন ‘নো সেলিব্রেশন ডিউরিং জেনোসাইড’ (গণহত্যার সময় উদ্‌যাপন নয়) শিরোনামে এই সমাবেশের উদ্যোগ নিয়েছিল।

নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে এই সংহতি সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

জার্মানির ডের স্পিগেল পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন বছর শুরুর প্রাক্কালে আগামীকাল রোববার রাত ১০টা থেকে এই আয়োজন শুরু হওয়ার কথা ছিল। বার্লিনের নয়েকোলন এলাকায় রিশার্ড স্কয়ার থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরুর পরিকল্পনা করেছিলেন ফিলিস্তিনপন্থীরা। মধ্যরাতে মিছিল শেষ হওয়ার কথা ছিল হারম্যান স্কয়ারে গিয়ে।

কিন্তু এখন পুলিশের নির্দেশে এই আয়োজন বন্ধ রাখতে হচ্ছে। যদিও রোববার বিকেলে ফিলিস্তিনপন্থীদের আরেকটি বিক্ষোভ ও সন্ধ্যায় হারম্যান স্কয়ারে ইসরায়েলের সমর্থনে আরেকটি সমাবেশ আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর পর থেকে বার্লিনে কয়েকটি সমাবেশ ও বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভ চলার সময় বার্লিনের নয়েকোলন এলাকায় সহিংসতাও ঘটেছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বার্লিন পুলিশ জানিয়েছে, বছরের শেষ দিন হওয়ায় আতশবাজি ও এ–জাতীয় বিস্ফোরক জনমনে আতঙ্ক তৈরি করতে পারে। তাই ফিলিস্তিন সংহতি সমাবেশ অন্য কোথাও আয়োজন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

বার্লিন পুলিশের প্রধান বারবারা স্লোভিক বলেন, নতুন বছর বরণে নানা আয়োজন করা হয়ে থাকে। এর সঙ্গে এখন ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়ায় বার্লিন পুলিশের ওপর বাড়তি চাপ পড়েছে।

নয়েকোলন বার্লিনের তিনটি প্রধান সম্ভাব্য সংঘাতপ্রবণ এলাকার একটি। বর্ষবরণ উপলক্ষে তিন হাজার পুলিশ বার্লিন শহরের উত্তর নয়েকোলন, ক্রয়েজবার্গ ও কুটবুশার টোর ​​এলাকা থেকে হারম্যান স্কয়ার পর্যন্ত নিরাপত্তা দেবে।

বার্লিন পুলিশ আরও জানিয়েছে, নতুন বছর উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কী ধরনের কনটেন্ট আপলোড করা হচ্ছে, তা পর্যবেক্ষণ করা হবে।

এ ছাড়া কোলন শহরের ক্যাথেড্রালে সন্ত্রাসী হামলার হুমকি পাওয়ার ঘটনায় পুলিশ ওই ক্যাথেড্রাল ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে।