চীনের কূটনীতি
মস্কো সফরে যাচ্ছেন সি, কথা হবে জেলেনস্কির সঙ্গেও
চীনের পক্ষ থেকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে একটি শান্তি প্রস্তাব দেওয়া হয়।
জেলেনস্কি বলেন, বেইজিং মস্কোকে সহায়তা করলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে পারে।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং রাশিয়া সফরে গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। একই সঙ্গে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও ভিডিও কলে কথা বলতে পারেন। আগামী সপ্তাহেই চীনের প্রেসিডেন্ট মস্কো সফরে রওনা হতে পারেন। এ সফরে চীনের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে ধারণার চেয়েও গভীর কূটনীতির দেখা মিলতে পারে।
সি চিন পিংয়ের মস্কো সফর আরও দেরিতে হওয়ার কথা ছিল। তবে তাঁর পরিকল্পনার সম্পর্কে জ্ঞাত কয়েকটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, মস্কো সফরের দিন এগিয়েছে। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনী ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে এই প্রথম ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছেন সি। এ খবর দিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। এ বিষয়ে অবশ্য চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করেনি। ক্রেমলিন বা কিয়েভের পক্ষ থেকেও কিছু বলা হয়নি। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় সির সফর নিয়েও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
সির মস্কো সফরকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে বড় ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সির মস্কো সফরকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে বড় ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই চীনা প্রেসিডেন্টের সফরের কথাও বলে আসছে দেশটি। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউরোপে তেল ও গ্যাস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়া রাশিয়া এখন চীনের ওপর নির্ভরশীল।
চীনের পক্ষ থেকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে একটি শান্তি প্রস্তাব দেওয়া হয়। পশ্চিমা দেশগুলো এ প্রস্তাব নিয়ে সন্দেহ জানিয়েছে। রাশিয়া এ প্রস্তাবের প্রশংসা করেছে। তবে জেলেনস্কির পক্ষ থেকে সতর্কভাবে একে স্বাগত জানানো হয়েছে। গত মাস থেকে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করে আসছে, রাশিয়াকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে চীন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে বেইজিং। জেলেনস্কি বলেন, বেইজিং মস্কোকে সহায়তা করলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে পারে। তবে তিনি মনে করেন, বেইজিং এ কাজ করবে না।
এদিকে বাখমুত শহরের নিয়ন্ত্রণ নিতে দুই পক্ষের তীব্র লড়াই অব্যাহত রয়েছে। উভয় পক্ষ থেকেই পাল্টাপাল্টি সেনা হত্যার দাবি করা হয়েছে।
শস্য চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে আলোচনা শুরু
ইউক্রেনের বন্দরগুলো দিয়ে শস্য রপ্তানি চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে জাতিসংঘ ও রুশ কর্মকর্তারা আলোচনা শুরু করেছেন। গতকাল সোমবার জেনেভায় রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ভার্শেনিন জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনায় বসেন। গত বছরের জুলাই মাসে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইউক্রেন ও রাশিয়ার এ চুক্তি হয়। ১৮ মার্চ এ চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে।