করোনাবিধি লঙ্ঘন নিয়ে আবারও তদন্ত হতে পারে বরিসের বিরুদ্ধে
করোনাবিধি লঙ্ঘনজনিত ‘পার্টি গেট’ কেলেঙ্কারির ঘটনায় সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নতুন করে পুলিশি তদন্তের মুখে পড়তে পারেন। করোনার বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের অভিযোগসংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য ব্রিটিশ সরকারের একটি মন্ত্রণালয় থেকে দুই শহরের পুলিশ বাহিনীকে হস্তান্তরের পর এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পার্টি গেট কেলেঙ্কারি হলো, ২০২০–২১ সালে করোনা মহামারি চলাকালে যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারি ছিল। সে সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বরিস জনসন।
লকডাউনের বিধি ভেঙে তাঁর কার্যালয়ে একাধিক পানাহার আয়োজন নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। এ কেলেঙ্কারির ঘটনা পার্টি গেট কেলেঙ্কারি নামে পরিচিত। এসব অভিযোগকে কেন্দ্র করে বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
জনসনের বিরুদ্ধে নতুন করে তদন্ত শুরুর আশঙ্কার খবরটি গতকাল মঙ্গলবার দ্য টাইমস সর্বপ্রথম প্রকাশ করলে, তা আবার সামনে আসে।
দ্য টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লন্ডনের বাইরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন চেকার্সে করোনাবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তে টেমস ভ্যালি পুলিশ নতুন আলামত পর্যালোচনা করছে।
লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ বলেছে, ২০২০ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের মে পর্যন্ত ডাউনিং স্ট্রিটে করোনাবিধির ‘সম্ভাব্য লঙ্ঘন’ নিয়ে গত সপ্তাহজুড়ে যেসব নতুন তথ্য পাওয়া গেছে, সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
বিভিন্ন সূত্র দ্য টাইমসকে বলেছে, বরিস জনসনের পরিবার ও তাঁর বন্ধুদের বিরুদ্ধেও করোনাবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে। তবে সাবেক এ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এক ঘনিষ্ঠ সূত্র সংবাদপত্রটিকে সাক্ষাৎকারে এমন তথ্য অস্বীকার করেছেন।
নিজ দলের ভেতর বিদ্রোহের জেরে গত বছর ৫৮ বছর বয়সী বরিস জনসন পদত্যাগ করেন। এর আগে কয়েক মাস ধরে লকডাউনের বিধি লঙ্ঘন এবং অন্য কেলেঙ্কারির অভিযোগকে কেন্দ্র করে সমালোচনার মধ্যে ছিলেন তিনি। তবে পার্লামেন্টসহ বিভিন্ন জায়গায় বরিস জনসন বারবার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ইতিমধ্যে হওয়া তদন্তে বরিস জনসনের বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠজনকে জরিমানা করা হয়েছে। জনসনের বিরুদ্ধেও অন্তত একটি জমায়েতে বিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। বরিস জনসনই প্রথম কোনো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, যাঁর বিরুদ্ধে এমন প্রমাণ পাওয়া গেল।
সাবেক এ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পার্টি গেট নিয়ে পার্লামেন্ট সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বলেছিলেন কি না, তা নিয়ে এখন একটি সংসদীয় কমিটির তদন্ত চলছে। এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁকে আইনপ্রণেতা হিসেবেও ইস্তফা দিতে হতে পারে।