জার্মানির থুরিঙ্গিয়া প্রাদেশিক পার্লামেন্ট নির্বাচনে রক্ষণশীল এএফডির বড় সাফল্য
জার্মানির পূর্বাঞ্চলীয় থুরিঙ্গিয়া রাজ্যে প্রাদেশিক পার্লামেন্ট নির্বাচনে রক্ষণশীল দল অল্টারনেটিভ ফর ডয়েচল্যান্ড (এএফডি) বড় সাফল্য পেতে যাচ্ছে।
এএফডির এই সাফল্যকে ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। দলটি ইতিমধ্যে বিজয় উদ্যাপন শুরু করে দিয়েছে।
গতকাল রোববার পূর্বাঞ্চলীয় থুরিঙ্গিয়া ও স্যাক্সনি রাজ্যে প্রাদেশিক পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আর অপর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ব্রান্ডেনবার্গে প্রাদেশিক পার্লামেন্ট নির্বাচন হবে ২২ সেপ্টেম্বর। তিনটি রাজ্যেই রক্ষণশীলদের আধিপত্য দেখা যাচ্ছে।
থুরিঙ্গিয়া রাজ্যে এএফডি ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে। ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ক্রিশ্চিয়ান গণতান্ত্রিক পার্টি (সিডিইউ)।
অন্যদিকে স্যাক্সনি রাজ্যের প্রাদেশিক পার্লামেন্ট নির্বাচনে সিডিইউ ৩১ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রথম অবস্থানে রয়েছে। এএফডি ৩০ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
জার্মান টেলিভিশন এআরডি জানিয়েছে, গতকালের নির্বাচনে থুরিঙ্গিয়া ও স্যাক্সনি রাজ্যে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৭৩ দশমিক ৫ শতাংশ।
তবে এ দুই রাজ্যে কোনো দল এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠন করতে অন্য দলের সঙ্গে জোট বাঁধতে হবে। কোন দলের সঙ্গে কার জোট হবে, সেটি আগামী সপ্তাহে জানা যাবে।
বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই জার্মানির পূর্বাঞ্চলের এই রাজ্যগুলোয় নব্য নাৎসিবাদী চেতনার অনুঘটক এএফডির জনপ্রিয়তা বাড়ছিল।
সাবেক পূর্ব জার্মানির পাঁচটি রাজ্যকে নিয়ে ১৯৯০ সালে জার্মানির পুনরায় একত্রীকরণের পর এই প্রথম পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোয় কট্টরবাদী দলটি (এএফডি) ভোটের মাধ্যমে নিজেদের শক্তিমত্তার পরিচয় দিল।
জার্মানির ক্ষমতাসীন জোট সরকারে অন্তর্ভুক্ত সামাজিক গণতন্ত্র, পরিবেশবাদী সবুজ দল ও লিবারেল গণতান্ত্রিক—এই তিন দলের মধ্যে নানা বিষয়ে তিক্ততা দেখা দিয়েছে।
বর্তমান জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের জনপ্রিয়তায়ও ব্যাপক ধস হয়েছে। এ ছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধ, অভিবাসী ও শরণার্থীদের ইস্যু নিয়ে রাজনীতি জার্মানির পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোয় এএফডির জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দিয়েছে।