কুকুরটির নাম ববি। গায়ে বাদামি ও সাদা রঙের মিশেল। দেখতে আর দশটি কুকুরের মতোই। সেটি এখন রীতিমতো তারকা খ্যাতি পেয়েছে। কারণটা বয়স। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের হিসাব বলছে, এর আগে কোনো কুকুর ববির মতো দীর্ঘজীবন পায়নি। গতকাল শনিবার ববির ৩১তম জন্মদিন উদ্যাপন করা হয়েছে।
ববির জন্ম হয়েছিল ১৯৯২ সালে, পর্তুগালে। তারিখটা ১১ মে। গত ১ ফেব্রুয়ারি ববি সবচেয়ে বয়স্ক কুকুর হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের খাতায় নাম লেখায়। এর আগে প্রায় ১০০ বছর ধরে এ রেকর্ড ছিল ব্লুয়ি নামের একটি কুকুরের দখলে। অস্ট্রেলিয়ার ওই কুকুর ১৯৩৯ সালে ২৯ বছর পাঁচ মাস বয়সে মারা যায়।
ববির মালিক লিওনেল কস্তা। প্রিয় কুকুরকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করছিলেন পর্তুগালে কনকুয়েরিওস গ্রামের এই বাসিন্দা। তিনি বলেন, ববির মায়ের নাম ছিল গিরা। একবার একসঙ্গে চারটি ছানার জন্ম দিয়েছিল সেটি। সেগুলোর একটিই ববি। সে সময় তাঁদের বাসায় অনেক পোষা প্রাণী ছিল। তাই তাঁদের বাবা ছানাগুলো মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। তবে সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় ববি। তারপর থেকে সেটিকে লালনপালন করছেন তাঁরা।
ববি রাফেইরো জাতের। গবাদি পশুপাখি পাহারা দেওয়ার জন্য এ কুকুরগুলো পোষা হয়। সাধারণত ১২ থেকে ১৪ বছর বাঁচে কুকুরগুলো। তবে ববি ব্যতিক্রম। যদিও লিওনেল কস্তার পোষা অনেক কুকুরই স্বাভাবিকের চেয়ে দীর্ঘজীবন পেয়েছে। বলা চলে ববির মা গিরার কথাই। কুকুরটি বেঁচে ছিল ১৮ বছর। আর তাঁর আরেকটি কুকুরের বয়স হয়েছিল ২২ বছর।
এদিকে সবচেয়ে বয়স্ক কুকুর হিসেবে রেকর্ড করার পর ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে ববি। লিওনেল কস্তা জানান, ববির সঙ্গে ছবি তোলার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাংবাদিক ও লোকজন আসছেন। তাঁদের মধ্যে ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, এমনকি জাপানের নাগরিকও রয়েছেন।
ব্যস্ত লিওনেল কস্তা নিজেও। কারণ, ববির জন্মদিন উদ্যাপনে গতকাল জমকালো এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন তিনি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শতাধিক অতিথিকে নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ওই অনুষ্ঠানে। সেখানে মজাদার খাবারদাবারের সঙ্গে ছিল ববির নাচ উপভোগের সুযোগও।