আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের পেলেন ইতালির নাগরিকত্ব

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির (বাঁয়ে) সঙ্গে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেই। চিগি প্যালেন, রোম, ইতালি, ১৩ ডিসেম্বরছবি: রয়টার্স

আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেইকে নাগরিকত্ব দিয়েছে ইতালি সরকার। তাঁর পূর্বপুরুষ ইতালির নাগরিক ছিলেন। সেই সূত্রে তাঁকে এই নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। তবে এ ঘটনায় বিরোধীদলীয় রাজনীতিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা মনে করেন, ইতালিতে অভিবাসী মা–বাবার সন্তানদের নাগরিকত্ব পেতে যে জটিলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, তার সম্পূর্ণ বিপরীত আজকের এই আচরণ।

বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একটি সূত্র বিষয়টি জানিয়েছে। তবে বিস্তারিত জানায়নি।

হাভিয়ের এখন ইতালির রোমে আছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে গতকাল শুক্রবার দুজন সাক্ষাৎ করেন। শনিবার জর্জিয়ার ব্রাদার্স অব ইতালি পার্টির বার্ষিক উৎসবে তাঁর যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে হাভিয়ের মিলেই’র নাগরিকত্ব পাওয়ার খবরটি ইতালির গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর কিছু রাজনীতিবিদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও লোকজন মেলেইকে নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

ইতালিতে নাগরিকত্ব আইন রক্তের সম্পর্কের ভিত্তিতে তৈরি। তার মানে একজন ইতালীয় নাগরিকের রক্তের সম্পর্কের দূরের কোনো ব্যক্তিও দেশটির পাসপোর্ট পেতে পারেন। অথচ ইতালিতে জন্ম নেওয়া বিদেশিদের ক্ষেত্রে বা যাঁরা এখানে অভিবাসী হয়েছেন, তাঁদের জন্য নাগরিকত্ব পাওয়াটা অনেক জটিল। অভিবাসী সমর্থক গোষ্ঠীগুলো বিষয়টিকে শিথিল করতে একটি গণভোটের প্রস্তাব দিয়েছে। তবে মেলোনির ডানপন্থী জোট এর বিরুদ্ধে।

বিরোধী দল ইউরোপা পার্টির একজন আইনপ্রণেতা রিকার্ডো ম্যাগি বলেন, হাভিয়েরকে নাগরিকত্ব দেওয়া হলো ‘সেসব মানুষের সঙ্গে অসহনীয় বৈষম্য করা, যাঁরা অনেক বছরের চেষ্টার পর এটি পান।’

গত ফেব্রুয়ারিতেও হাভিয়ের মিলেই ইতালি সফর করেছিলেন। তখন এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে হাভিয়ের বলেছিলেন, তিনি নিজেকে ‘৭৫ শতাংশ ইতালিয়ান’ মনে করেন। কারণ, তাঁর দাদা-দাদির তিনজন ছিলেন ইতালির নাগরিক। আর এ কারণে ইতালির অপেরার প্রতি তাঁর অন্য রকম এক আবেগ কাজ করে।

উদারপন্থী হাভিয়ের মিলেই ও রক্ষণশীল জর্জিয়া মেলোনির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। গত মাসে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস এইরেসে যখন তাঁদের দেখা হয়, তখন আর্জেন্টাইন নেতা ইতালির অতিথিকে নিজের একটি ভাস্কর্য উপহার দিয়েছিলেন।