৪০০ কোটি ডলার নিয়ে উধাও ‘ক্রিপ্টোকুইন’ রুজা কি বেঁচে আছেন
২০১৭ সালের অক্টোবরের পর থেকে বুলগেরিয়ার রুজা ইগনাতোভার ছবি এফবিআইয়ের ওয়েবসাইটে ঝুলছে। বিশ্বব্যাপী বড় বড় গণমাধ্যমেও তাঁকে নিয়ে প্রতিবেদন কম হয়নি। ইউরোপেও শীর্ষ অপরাধীর তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। অভিযোগ, উধাও হওয়ার আগে তিনি ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রতারণার মাধ্যমে ৪০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
এখন রুজা কোথায় বা তাঁর কী হয়েছে—সেই উত্তর খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা চলছে। বিবিসি আই ইনভেস্টিগেশনস অ্যান্ড প্যানোরমা তদন্ত করতে গিয়ে দেখেছে, তাঁর সঙ্গে বুলগেরিয়ার শীর্ষ এক অপরাধীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। অভিযোগ রয়েছে, রুজা ইগনাতোভাকে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। এখন এই অভিযোগ ঘিরে অনেক প্রশ্ন চারপাশে। কে তাঁকে হত্যা করল? নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এত দিন যাঁদের অর্থ দিয়েছেন, তাঁদের হাতেই কি তিনি খুন হলেন? রুজা কি চুরির সেই শত শত কোটি ডলার ভোগ করতে পেরেছেন?
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক রুজা ইগনাতোভার জন্ম ও বেড়ে ওঠা জার্মানিতে। ২০১৪ সালে ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রতিষ্ঠান ওয়ানকয়েন চালুর আগে আর্থিক বিভাগে তাঁর সফল ক্যারিয়ার ছিল। রুজা বিশ্বের লাখ লাখ মানুষকে ওয়ানকয়েনে বিনিয়োগ করতে আকৃষ্ট করেছিলেন।
রুজার দাবি ছিল, বিটকয়েনের বিনিয়োগকারীদের তুলনায় ওয়ানকয়েনে বিনিয়োগকারীরা বেশি লভ্যাংশ পাবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, রুজা অত্যন্ত চাতুর্যের সঙ্গে এই বিনিয়োগ নিয়ে প্রতারণা করেছেন। বিটকয়েনে লেনদেনে ডিজিটাল রেকর্ড থাকলেও ওয়ানকয়েনে সেই ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
২০১৭ সালে জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের তদন্তকারীরা যখন রুজাকে প্রায় ঘিরে ফেলছিলেন, তখনই বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়া থেকে গ্রিসের রাজধানীর এথেন্সের উদ্দেশে উড়োজাহাজে চড়ে বসেছিলেন। আর এরপরই তিনি ‘নাই’ হয়ে যান। এখনো তাঁর কোনো হদিস মেলেনি।
বিবিসি আই ইনভেস্টিগেশনস অ্যান্ড প্যানোরমা তদন্ত করতে গিয়ে দেখেছে, তাঁর সঙ্গে বুলগেরিয়ার শীর্ষ এক অপরাধীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। অভিযোগ রয়েছে, রুজা ইগনাতোভাকে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। এখন এই অভিযোগ ঘিরে অনেক প্রশ্ন চারপাশে। কে তাঁকে হত্যা করল?
গত এক বছর বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের আই ইনভেস্টিগেশনস এবং প্যানোরমা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছে, আসলে রুজার সঙ্গে কী হয়েছে, তিনি এখনো বেঁচে আছেন কি না। তদন্তের মূল বিষয় ছিল রুজার চারপাশের লোকজন কারা ছিল, সেটা খুঁজে বের করা।
এফবিআইয়ের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বিভাগের রিচার্ড রেইনহার্ডও ওয়ানকয়েন নিয়ে তদন্ত করেন। তিনি বিবিসিকে বলেন, তদন্তের সময় অন্যতম এক মূল চরিত্রের সন্ধান পাওয়া যায, আগে যার নাম কখনো প্রকাশ্যে আসেনি।
রুজাকে যখন খোঁজা হচ্ছে তখনই তদন্ত অপ্রত্যাশিতভাবে অন্যদিকে মোড় নেয়। শুনতে পাওয়া যায়, তিনি খুন হয়েছেন। কিন্তু এটি কি সত্যি? বিবিসি যা বুঝতে পেরেছে তা হলো, রুজাকে নিরাপদে রাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্রিস্টোফোরস নিকোস আমানতিদিস হলেন সেই মূল চরিত্র; যিনি তাকি নামে পরিচিত।
২০২৩ সালে অবসরে যাওয়ার পর রিচার্ড রেইনহার্ড প্রথম বিবিসিকে সাক্ষাৎকার দেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমাদের বলা হয়েছিল, তার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করছেন, এমন একজন।’ তিনি আরও বলেন, তদন্তে তাকির নাম বেশ কয়েকবার এসেছে।
বিবিসি জানায়, রিচার্ড যা বলেছেন, এমন তথ্য তাঁদের কাছে আগেও ছিল। কারণ, মার্কিন সরকারি কৌঁসুলিরা ২০১৯ সালে তাঁদের বলেছিলেন, রুজার নিরাপত্তায় নিয়োজিত দলের প্রধান ছিলেন বুলগেরিয়ার একজন বড় অপরাধী। তবে তাঁর নাম বলেননি তাঁরা।
একজন সহকারী অ্যাটর্নি বলেছিলেন, ‘আমাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ আছে, বুলগেরিয়ার মাদক পাচারকারী ওই ব্যক্তি ওয়ানকয়েনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন, তিনি রুজার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর দায়িত্বে ছিলেন।’ মার্কিন সরকারের আরেক আইনজীবী বলেছেন, তাকি সেই নিরাপত্তা দলের প্রধান। রুজার নিখোঁজ হওয়ার সঙ্গে তিনি জড়িত।
রিচার্ডের মতে, মানুষ যতটা মনে করে, রুজা ছিলেন তার চেয়ে অনেক বেশি চতুর অপরাধী। বিবিসির অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, উধাও হওয়ার আগেই রুজা ও তাকির মধ্যে যে যোগাযোগ ছিল, সেটি বুলগেরিয়ার পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। ইউরোপোলের ফাঁস হওয়া নথিতেও সেই কথা রয়েছে। সেসব নথিতে বলা হয়, পুলিশের ধারণা, মাদক পাচারের অর্থ লেনদেনের জন্য তাকি ওয়ানকয়েনের আর্থিক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেছেন।
বুলগেরিয়ায় তাকিকে দেশটির সবচেয়ে সংগঠিত অপরাধ চক্রের প্রধান ও বড় ধরনের মাদক কারবারি হিসেবে সন্দেহ করা হয়। অস্ত্র লুট, মাদক পাচার ও খুনের মামলায় তাঁর ও তাঁর সহযোগীদের নাম এসেছে। কিন্তু কোনো অপরাধেই তাঁর বিচার হয়নি।
রুজাকে যখন খোঁজা হচ্ছে তখনই তদন্ত অপ্রত্যাশিতভাবে অন্যদিকে মোড় নেয়। শুনতে পাওয়া যায়, তিনি খুন হয়েছেন। কিন্তু এটি কি সত্যি? বিবিসি যা বুঝতে পেরেছে তা হলো, রুজাকে নিরাপদে রাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্রিস্টোফোরস নিকোস আমানতিদিস হলেন সেই মূল চরিত্র; যিনি তাকি নামে পরিচিত।
২০২২ সাল থেকে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সহায়তায় তাকি অপরাধ নেটওয়ার্ক পরিচালনা করছেন, এমন অভিযোগ তদন্ত করেছিলেন তৎকালীন উপমন্ত্রী ইভান রিস্তানভ। তিনি এখন তাকির সম্পর্কে বিবিসিকে বলছেন, ‘আমরা যখন তাকিকে নিয়ে তদন্ত করি, তখন তিনি বুলগেরিয়ার মাফিয়াপ্রধান। তিনি ছিলেন অত্যন্ত ক্ষমতাধর।’
ইভান রিস্তানভ বলেন, ‘তাকি ছিলেন প্রেতাত্মা। আপনি তাঁকে কখনোই দেখতে পাবেন না। আপনি কেবল তাঁর সম্পর্কে শুনতে পাবেন। তিনি আপনার সঙ্গে অন্য লোকের মাধ্যমে কথা বলবেন। আপনি যদি তাঁর কথা না শোনেন, তবে পৃথিবী থেকে নাই হয়ে যাবেন। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি বিদেশি সংস্থাগুলোসহ সব ধরনের তদন্ত থেকে রুজাকে রক্ষা করতে পারতেন।’
তাকি এখন দুবাইয়ে আছেন বলে মনে করা হয়। সেখানে রুজা বেশ বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন। সেখানে তাঁর বেশ কয়েকটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ওয়ানকয়েন প্রতারণার মাধ্যমে সেগুলোতে শত শত কোটি ডলার জমা হয়েছে।
তবে তাকি ও রুজার কীভাবে দেখা হয়েছিল, তা জানা যায়নি। ওয়ানকয়েনে তাঁরা শুরু থেকেই যুক্ত ছিলেন কি না, সেটাও জানা যায়নি। বেশ কয়েকটি সূত্র বলছে, তাঁদের দুজনের ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এবং তাকি ছিলেন তাঁর মেয়ের গডফাদার।
রুজার ঘনিষ্ঠ বুলগেরিয়ার একটি সূত্র বিবিসিকে বলেছিলেন, রুজা সম্ভবত নিরাপত্তার বিনিময়ে তাকিকে এক লাখ ইউরো করে দিতেন। এ ছাড়া এ দুজনের মধ্যে আর্থিক সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা হয়। দ্য ইউরোপোলের নথিতে বুলগেরিয়ায় কৃষ্ণসাগরের উপকূলে একটি প্লট বিক্রি নিয়ে জটিল এক চুক্তির কথা বলা হয়। সেখানে দেখা যায় চুক্তিতে রুজার একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাকির স্ত্রী জড়িত।
পুলিশের গোপন কিছু নথি বিবিসিকে সরবরাহ করেছেন রুজার সাবেক এক গুপ্তচর এবং উপদেষ্টা ফ্রাঙ্ক স্নাইডার। তিনি বলেন, তাঁর বস অপরাধী ও গ্যাংস্টারদের সঙ্গে কাজ করেন।
ফ্রান্সে যখন স্নাইডারের বাড়িতে বসে এই সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছিল, তখন তিনি ছিলেন গৃহবন্দী। ওয়ানকয়েন কেলেঙ্কারির ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। তবে তিনি সেই অপরাধীদের নাম প্রকাশের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। তিনি বলেন, ‘আমি আপনাকে তাদের নাম বলব না। কারণ, আমার পরিবার আছে...এটি সত্যি, এরা ভয়ংকর সংগঠিত অপরাধ করত। কিন্তু শেষ মুহূর্তে হয়তো রুজার রক্ষাকারীরাই আগ্রাসী হয়ে উঠেছিলেন।’
তাকি ছিলেন প্রেতাত্মা। আপনি তাঁকে কখনোই দেখতে পাবেন না। আপনি কেবল তাঁর সম্পর্কে শুনতে পাবেন। তিনি আপনার সঙ্গে অন্য লোকের মাধ্যমে কথা বলবেন। আপনি যদি তাঁর কথা না শোনেন, তবে পৃথিবী থেকে নাই হয়ে যাবেন। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি বিদেশি সংস্থাগুলোসহ সব ধরনের তদন্ত থেকে রুজাকে রক্ষা করতে পারতেন।ইভান রিস্তানভ
২০২২ সালে বুলগেরিয়ার অনুসন্ধানী সাংবাদিক দিমাতার স্টোয়ানভ এবং তাঁর সহকর্মীদের হাতে পুলিশের একটি প্রতিবেদন এসেছিল। সেটি পাওয়া গিয়েছিল খুন হওয়া এক পুলিশ কর্মকর্তার বাসায়। সেখানে দেখা যায়, পুলিশের এক তথ্যদাতা তাকির শ্যালককে মদ্যপ অবস্থায় বলতে শোনেন তাকির নির্দেশে রুজাকে ২০১৮ সালে হত্যা করা হয়েছে। এরপর মরদেহ টুকরা টুকরা করে ইয়টে করে নিয়ে আয়োনিয়ান সাগরে ফেলে দেওয়া হয়।
দিমাতার বলেন, ‘এটি হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। দেশটির কর্মকর্তারা পুলিশের এই নথির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তাকির অপরাধের একাধিক সহযোগীও এটি বিশ্বাস করেন।’
তবে বিবিসি নিজেদের পক্ষ থেকে এসব দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। ওই সহযোগীদের একজন ক্রাসিমির কামেনোভ, যিনি কুরো নামে পরিচিত, তিনিও খুনের দায়ে ইন্টারপোলের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় আছেন।
দিমাতার বলেন, ‘কুরো তাকে বলেছেন, তাকিকে রুজার সামনে তাঁর অপরাধজগতের ব্যবসায় নিয়ে আলাপ করতে তিনি শুনেছেন। তখন তিনি তাকিকে এটা করা ঠিক হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেছিলেন, চিন্তা কোরো না, তিনি বেশি দিন থাকবেন না।’
কুরো আরও দাবি করেছিলেন, তিনি তাকির প্রসঙ্গে সিআইএ-এর সঙ্গে কথা বলেছেন। সেখানে রুজাকে হত্যার প্রসঙ্গও ছিল। কুরোর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, বৈঠকটি হয়েছিল ২০২২ সালে। ২০২৩ সালে কুরো স্ত্রী ও দুই সহযোগীসহ কেপটাউনের বাড়িতে গুপ্তহত্যার শিকার হন। দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ হত্যাকারীদের খুঁজছে।
কিন্তু বুলগেরিয়ার সাবেক উপমন্ত্রী হরিসতানোভ বিশ্বাস করেন, কুরোর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাকি জড়িত। হরিসতানোভ বলেন, তাকির সম্পর্কে যাঁরা বেশি জানেন, তাঁদের সরিয়ে ফেলা তাঁর জন্য জরুরি ছিল।
রুজার হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন করায় সাংবাদিক দিমিতার ও তাঁর সহকর্মীরা হত্যার হুমকি পেয়েছেন। তিনি চতুর্থবারের মতো সাময়িক সময়ের জন্য দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। রুজাকে হত্যার পেছনের উদ্দেশ্য কী, সেই বিষয়ে দিমিতার কিছু দাবি না করলেও সম্পত্তির রেকর্ড ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পারেন, বুলগেরিয়ায় থাকা রুজার অনেক সম্পদ তাকির লোকজন ভোগ করছে।
রুজাকে হত্যার দায়ে তাকিকে কখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। রুজার মরদেহও কেউ দেখেনি। আর তদন্তকারীরাও বলেন, তাকিকে বিচারের কাঠগড়ায় তোলার যথেষ্ট প্রমাণ নেই।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বিভাগের সাবেক তদন্তকারী রিচার্ড রেইনহার্ড মনে করেন, রুজা সম্ভবত মারা গেছেন। যদিও তিনি এই হত্যার সঙ্গে তাকির সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ দেখতে পাননি। তিনি বলেন, ‘চোরদের মধ্যে কোনো সম্মান নেই।...যদি তিনি (তাকি) মনে করেন, রুজা তাঁর জন্য হুমকি...তখন তিনি ধরা পড়ার চেয়ে তাঁকে সরিয়ে ফেলাকেই উপযুক্ত মনে করেন।’
বিবিসি তাকির আইনজীবীদের এসব অভিযোগ সম্পর্কে লিখে জানতে চেয়েছিল। তবে তাঁরা কোনো জবাব দেননি। ২০২২ সালে রুজা এফবিআইয়ের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় শীর্ষ দশে ছিলেন। এখনো তাঁর অবস্থান সেখানেই। কারণ, রুজা মারা গেছেন। সেটার সুস্পষ্ট কোনো প্রমাণ তাঁদের কাছে নেই।