নারীদের মধ্যে এখনো জনপ্রিয় এরদোয়ান
টানা ২০ বছর ধরে তুরস্কে ক্ষমতায় আছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ২০০৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এর পর থেকে প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন তিনি। তবে এখনো নারীদের মধ্যে জনপ্রিয় রয়েছেন তিনি।
এরদোয়ান এবারও ক্ষমতায় এলে কিছু নীতিতে পরিবর্তন আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে ইসিক ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক সেদা দেমিরালপ বলেন, তাঁর অধিকাংশ নীতিই আগের মতো থাকবে। অর্থনীতি, নারী অধিকার ও বাক্স্বাধীনতা নীতিতে ধীরে ধীরে দীর্ঘ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাবে।
সেদা দেমিরালপ বলেন, পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার কারণে এই পরিবর্তনগুলো আসবে। তুরস্কের এই বিশ্লেষক আরও বলেন, বিরোধীদের বিভিন্ন দাবির মুখেও তুরস্কের নারীদের মধ্যে এরদোয়ানের জনপ্রিয়তা আগের মতোই রয়েছে।
বেশ কয়েক বছরর ধরেই তুরস্কের অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে দেশটির মুদ্রা লিরার মূল্যমানও কমেছে। তবে এরপর প্রভাব ভোটে খুব বেশি পড়েনি বলে মনে করেন সেদা দেমিরালপ। তাঁর মতে, এরদোয়ানকে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তেমনটা বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না।
আজ রোববার তুরস্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট হচ্ছে। প্রথম দফার ভোট কোনো প্রার্থী সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারায় দ্বিতীয় দফায় ভোট হচ্ছে সেখানে। প্রথম দফায় এরদোয়ান ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল পেয়েছিলেন ৪৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ ভোট; অর্থাৎ প্রথম দফায় এরদোয়ান তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে প্রায় ৫ শতাংশ ভোট বেশি পেয়েছিলেন। তবে এবারের ভোটে এরদোয়ান বিশেষ সুবিধা পেতে পারেন। কারণ, কট্টর জাতীয়তাবাদী রাজনীতিক সিনান ওগান প্রথম দফা ভোটে ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। তিনি দ্বিতীয় দফার ভোটে এরদোয়ানকে সমর্থন দিয়েছেন।