হিথরো বন্ধ, ১৩০০ ফ্লাইট বাতিল হতে পারে, হাজারো স্থাপনা বিদ্যুৎহীন
যুক্তরাজ্যের হিথরো বিমানবন্দর আজ শুক্রবার সারা দিন বন্ধ থাকছে। এ কারণে এই রুটের উড়োজাহাজ চলাচলের সময়সূচি ব্যাহত হচ্ছে।
বিমানবন্দরটির কাছের একটি বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রে (সাবস্টেশন) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর হিথরো কর্তৃপক্ষ বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
উপকেন্দ্রটি থেকে হিথরো বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। উপকেন্দ্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
উপকেন্দ্রে আগুনের কারণে ইউরোপের ব্যস্ততম বিমানবন্দর হিথরোতে ব্যাপক বিদ্যুৎ-বিভ্রাট দেখা দেয়।
বিশ্বের পঞ্চম ব্যস্ততম এই বিমানবন্দর বন্ধের কারণে নানা সংস্থার উড়োজাহাজ চলাচলের সময়সূচি ব্যাহত হচ্ছে।
বিমানবন্দরটি বন্ধের কারণে আজ ১ হাজার ৩০০টি বেশি ফ্লাইট বাতিল হতে পারে।
লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড জানিয়েছে, বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রটির আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ৭০ কর্মী কাজ করছেন।
বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র এলাকার আকাশে আগুনের লেলিহান শিখা ও কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকাশে উড়তে দেখা গেছে।
উপকেন্দ্রটির আশপাশের ভবনগুলো থেকে প্রায় ১৫০ ব্যক্তিকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। হাজারো ঘরবাড়িসহ স্থাপনা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।
ফায়ার সার্ভিস বাহিনী জানিয়েছে, বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রটিতে আগুন লাগার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে হিথরো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলেছে, যাত্রী ও সহকর্মীদের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য আজ (২১ মার্চ) রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বিমানবন্দর বন্ধ থাকবে। যাত্রীদের বিমানবন্দরে না আসার জন্য পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
উড়োজাহাজের চলাচল অনুসরণকারী (ফ্লাইট ট্র্যাকিং) ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার ২৪-এর তথ্য অনুসারে, হিথরোমুখী অন্তত ১২০টি ফ্লাইট ইতিমধ্যে অন্যান্য বিমানবন্দরের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আকাশ পরিবহনবিশেষজ্ঞরা বলছেন, হিথরো বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় ফ্লাইট বাতিল হবে। ফ্লাইট বিলম্বিত হবে। এর প্রভাব বিশ্বজুড়ে পর্যটন, ভ্রমণ ও বাণিজ্যের ওপর পড়বে। এতে এই খাতগুলোর কার্যক্রম ব্যাহত হবে।
ফ্লাইটরাডার ২৪-এর মুখপাত্র ইয়ান পেটচেনিক বলেন, ‘হিথরো বিশ্বের অন্যতম প্রধান বিমানবন্দর। এটি (বন্ধ থাকা) বিশ্বজুড়ে উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোর কার্যক্রম ব্যাহত করবে।’
ভ্রমণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ব্যাঘাতের প্রভাব শুধু হিথরো বিমানবন্দরেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। অন্যত্রও তা ছড়িয়ে পড়বে।
ভ্রমণশিল্পবিশ্লেষক হেনরি হার্টভেল্ট বলেছেন, আগামী কয়েক দিন একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দেখা যেতে পারে।