রুশ জেনারেলদের সঙ্গে বৈঠক করলেন পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দেশটির সামরিক প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গত শুক্রবার ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। এ দিনই রাশিয়ার শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুতিন। খবর বিবিসির।
শুক্রবারের পর গতকাল শনিবারও ইউক্রেনে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। গত দুই দিনের হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ইউক্রেন।
শুক্রবার দিনের অধিকাংশ সময় রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানের সদর দপ্তরে কাটান পুতিন। রাশিয়ার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে, তা নিয়ে সেখানে তিনি আলোচনা করেন।
ইউক্রেনের সামরিক কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, রাশিয়া সম্ভবত আগামী বছরের শুরুর দিকে নতুন করে হামলার পরিকল্পনা করছে। ইউক্রেনের এমন আশঙ্কার মধ্যেই রুশ জেনারেলদের সঙ্গে পুতিন বৈঠক করলেন।
ইউক্রেনের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে রাশিয়ার হামলার কারণে লাখো ইউক্রেনীয় বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন। শুক্রবারের বৈঠকের ভিডিওতে দেখা যায়, পুতিনের পাশে বসে আছেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ও দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ভালেরি গেরাসিমভ।
সামরিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে পুতিনকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা প্রতিটি যুদ্ধক্ষেত্রের অধিনায়কদের দিকনির্দেশনা শুনব। আমি আমাদের তাৎক্ষণিক ও মধ্যমেয়াদি পদক্ষেপের বিষয়ে আপনাদের প্রস্তাব শুনতে চাই।’
জেনারেল গেরাসিমভকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার হয়েছে বলে অনলাইনে গুজব ছড়িয়ে ছিল। কিন্তু শুক্রবার পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে তাঁর উপস্থিতির মধ্য দিয়ে এই গুজবের অবসান হলো।
যুদ্ধের সমর্থক রুশ বিশ্লেষকেরা ৬৭ বছর বয়সী গেরাসিমভের বিরুদ্ধে অতি সতর্কতার অভিযোগ তুলে তাঁর কড়া সমালোচনা করে আসছিলেন।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, দেশটির বিমানবাহিনীর জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিনও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। গত অক্টোবরে তাঁকে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি বলেছেন, মস্কো ২০২৩ সালের শুরুর দিকে নতুন করে হামলা চালাতে পারে। তিনি সতর্ক করে বলেন, ওই হামলার জন্য রাশিয়া প্রায় দুই লাখ সেনা প্রস্তুত করছে।
চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। ১০ মাস ধরে এই যুদ্ধ চলছে।