কায়দা করে চুলের ছাঁট দেওয়ার বিষয়টি ইতিমধ্যে শিল্পের পর্যায়ে পৌঁছেছে। চুলের ভালো ছাঁট যে কাউকে দেখতে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে। আকর্ষণীয় ছাঁট দিতে পারেন, এমন ব্যক্তিদের কদরও কম নয়। খবর এনডিটিভির।
তবে গ্রিসের একজন কেশশিল্পী (হেয়ারড্রেসার) যা করলেন, তা রীতিমতো শিল্পকে ছাপিয়ে গেছে। মাত্র ৪৭ সেকেন্ডে এক ব্যক্তির চুলের ঠিকঠাক শৈল্পিক ছাঁট দিয়ে তিনি নিজের নাম তুলেছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে।
যেমন একজন টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘দুঃখিত, ভেবেছিলাম শেষ পর্যন্ত চুলের ছাঁটটি ভালো দেখাবে; কিন্তু লাগেনি। এমনকি যাঁর চুল কাটা হয়েছে, তাঁকেও খুশি মনে হয়নি।’
গ্রিসের এই কেশশিল্পীর নাম কনস্তান্তিনোস কাতোপিস। এক মিনিটের কম সময়ে তাঁর এই চুল কাটার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। ভিডিও ফুটেজটি নিজেদের টুইটার অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ।
কাতোপিস তাঁর খদ্দেরের ওই চুল কাটেন ট্রিমার দিয়ে। চুলের উল্লম্ব ও ঢালু ঠিক রাখতে সহায়তা নেন চিরুনির। গিনেস কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেওয়া মাপে চুল কাটতে তাঁর সময় লাগে মাত্র ৪৭ দশমিক ১৭ সেকেন্ড। ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, চুল কাটানো শেষে দুই হাত ওপরে তুলে তিনি উল্লাস করছেন। এর পরপরই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের প্রতিনিধিরা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মাথার চারদিকের চুলের দৈর্ঘ্য পরিমাপ করেন ও ঘোষণা দেন, কাতোপিস কাজটি ঠিকঠাক করতে পেরেছেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, কনস্তান্তিনোস ওই ব্যক্তির চুল কাটেন পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী। অর্থাৎ তাঁর চুল কাটার প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল অনেকটা মুখস্থের মতো। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের যে বিষয় অবাক করেছে, তা হলো এত দ্রুত ট্রিমার চালানোর পরও ওই ব্যক্তির চুলের পরিমাপ ছিল একদমই ঠিক। ডানে-বাঁয়ে ও ওপরে-নিচে কোথাও চুলের আলাদা দৈর্ঘ্যের তারতম্য পায়নি গিনেস কর্তৃপক্ষ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে কনস্তান্তিনোসের দক্ষতা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ও তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তবে কারও কারও কাছে বিষয়টি ভালো লাগেনি।
যেমন একজন টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘দুঃখিত, ভেবেছিলাম শেষ পর্যন্ত চুলের ছাঁটটি ভালো দেখাবে; কিন্তু লাগেনি। এমনকি যাঁর চুল কাটা হয়েছে, তাঁকেও খুশি মনে হয়নি।’