ইউক্রেনকে সদস্য করে নিতে আলোচনা শুরুতে রাজি ইইউ
ইউক্রেনকে সদস্য করে নেওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে রাজি হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। এ ঘটনাকে নিজ দেশ ও ইউরোপের ‘বিজয়’ হিসেবে দেখছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
কয়েক মাস ধরে ইউক্রেনের ইইউর সদস্য হওয়ার আলোচনা শুরুতে বাধা দিয়ে আসছিল হাঙ্গেরি। এ অচলাবস্থা কেটে গিয়ে আলোচনা শুরুর পথ খুলেছে।
আলোচনা শুরুর এ ঘোষণা আসে গতকাল বৃহস্পতিবার, ইইউর ২৭ দেশের বৈঠকের পর। এ বৈঠকে ইউক্রেন ছাড়াও মলদোভার সদস্য হওয়ার আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে ইউরোপীয় জোট।
উরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে এ বিষয়ে বলেন, এটা তাঁদের (ইউক্রেনবাসী) জন্য এবং আমাদের মহাদেশের জন্য আশার সুষ্পষ্ট বার্তা।
পরে জেলেনস্কি এক এক্স (সাবেক টুইটার) বার্তায় বলেন, এটা ইউক্রেনের বিজয়। ইউরোপের সবার বিজয়। এ বিজয় আমাদের উৎসাহিত করবে, অনুপ্রেরণা জোগাবে এবং শক্তিশালী করবে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেন বলেন, ‘এটা একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত। ইউরোপীয় জোটের ইতিহাসে দিনটি খোদাই করে রাখা হবে।’
জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ বলেন, এসব দেশ (ইউক্রেন ও মলদোভা) ইউরোপীয় পরিবারের অন্তর্ভুক্ত।
তবে ইউরোপীয় কূটনীতিকদের বরাতে জানা যায়, ইউক্রেনের সদস্য হওয়ার আলোচনা শুরু করা নিয়ে যখন ভোটাভুটি হয়, তখন সম্মেলনকক্ষে ছিলেন না হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান। তবে ওরবান জানতেন, তাঁর অনুপস্থিতিতে অন্য নেতারা ভোটাভুটিতে অংশ নেবেন।
কয়েক সপ্তাহ ধরে ভিক্টর ওরবান বলে আসছিলেন, ইউক্রেনকে সদস্য করা নিয়ে ইইউর উদ্যোগ আটকে দেবেন তিনি। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, এটা খুবই খারাপ একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভিক্টর ওরবান আরও বলেন, হাঙ্গেরির অবস্থান সুষ্পষ্ট হওয়ায় ইইউর সদস্য হওয়ার আলোচনা শুরু করতে ইউক্রেন এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। এরপরও অযৌক্তিকভাবে অনুপযুক্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
হাঙ্গেরি বাদে জোটের অন্য ২৬টি দেশ চাইছে, ইউক্রেনকে সদস্য করা নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করা হোক। তাই হাঙ্গেরির অবস্থান হলো যদি ২৬ দেশ তাই চায়, তারা তাদের নিজস্ব পথে এগিয়ে যাক। হাঙ্গেরি এ খারাপ সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে না—এমনটাই বলেছেন ভিক্টর ওরবান।