যুক্তরাজ্যে এখন কতজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেঁচে আছেন
যুক্তরাজ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির নিদারুণ পরাজয়ের পর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ঋষি সুনাক পদত্যাগ করেছেন। তিনি এখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। সুনাককে নিয়ে দেশটিতে বর্তমানে জীবিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সংখ্যা দাঁড়াল আটজনে।
সুনাক ছাড়াও যুক্তরাজ্যের অন্য সাত জীবিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী হলেন লিজ ট্রাস, বরিস জনসন, থেরেসা মে, ডেভিড ক্যামেরন, গর্ডন ব্রাউন, স্যার টনি ব্লেয়ার ও স্যার জন মেজর।
যুক্তরাজ্যে গত ১৪ বছরে জীবিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
২০০৭ থেকে ২০১০ সালে গর্ডন ব্রাউন প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে দেশটিতে জীবিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সংখ্যা ছিল মাত্র তিন। তাঁরা হলেন স্যার টনি ব্লেয়ার, স্যার জন মেজর ও মার্গারেট থ্যাচার।
যুক্তরাজ্যে জীবিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি দুটি বিষয়ের ইঙ্গিত দেয়। এক. সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দেশটিতে সরকারের প্রধানমন্ত্রীদের দ্রুত পতন হয়েছে। দুই. তুলনামূলক কম বয়সী ব্যক্তিরা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।
যুক্তরাজ্যে বর্তমানে যে আট জীবিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে তিনজনের বয়স ৬০-এর নিচে। ডেভিড ক্যামেরনের বয়স ৫৭, লিজ ট্রাসের বয়স ৪৮ এবং ঋষি সুনাকের বয়স ৪৪ বছর।
দুজনের বয়স এখনো ৭০ বছরের কম। তাঁরা হলেন বরিস জনসন (৬০) ও থেরেসা মে (৬৭)।
সত্তরের বেশি বয়স তিন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর। তাঁদের মধ্যে টনি ব্লেয়ারের বয়স ৭১, গর্ডন ব্রাউনের বয়স ৭৩ ও জন মেজরের বয়স ৮১ বছর।