উত্তর কোরিয়ার দুই সেনাকে আটকের দাবি ইউক্রেনের, করা হবে জিজ্ঞাসাবাদ
রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে যুদ্ধরত উত্তর কোরিয়ার দুই সেনাকে আটকের দাবি করেছে ইউক্রেন। আটক সেনাদের রাজধানী কিয়েভে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তদন্তকারীরা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন বলে জানিয়েছে দেশটি।
এ বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, এই দুই যুদ্ধবন্দী ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা সিকিউরিটি সার্ভিস অব ইউক্রেনের (এসবিইউ) সঙ্গে ‘যোগাযোগ’ করেছিল।
গতকাল শনিবার এক্স পোস্টে জেলেনস্কি বলেন, রুশ বাহিনীগুলো এবং অন্যান্য উত্তর কোরিয়ার সামরিক কর্মকর্তারা সাধারণত চলমান যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার জড়িত থাকার প্রমাণ মুছে ফেলতে তাদের আহত সৈনিকদেরও মৃত্যুদণ্ড দিয়ে থাকে।
এসবিইউর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আটক হওয়া উত্তর কোরিয়ার এক সেনার কাছ থেকে কোনো নথিপত্র পাওয়া যায়নি। অন্যজনের কাছে রাশিয়ার সামরিক পরিচয়পত্র ছিল। মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে রুশ সীমান্তঘেঁষা তুভা অঞ্চলের একজনের নামে সেটা করা হয়েছিল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দুই বন্দীর কেউই ইউক্রেনীয়, ইংরেজি কিংবা রুশ ভাষায় কথা বলতে পারেন না। তাই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সময় লাগছে। এক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দারা দোভাষী দিয়ে সহায়তা করছে।
এসবিইউ বলছে, আটক হওয়া একজন সেনা দাবি করেছেন, তাঁকে ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে আনা হচ্ছে সেটা তিনি আগে জানতেন না। তাঁকে বলা হয়েছিল, প্রশিক্ষণের জন্য রাশিয়ায় নেওয়া হচ্ছে।
আটক দুজনকেই জেনেভা কনভেনশনের শর্ত মেনে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলেও নিশ্চিত করেছে এসবিইউ। তবে তাঁদের বিস্তারিত পরিচয় জানায়নি ইউক্রেন।
এবারই প্রথম ইউক্রেনের গোয়েন্দারা যুদ্ধরত উত্তর কোরীয় সেনাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সুযোগ পেয়েছে। তবে এর আগেও কিয়েভের পক্ষ থেকে যুদ্ধে আহত উত্তর কোরিয়ার সেনাদের আটকের কথা বলা হয়েছিল। তবে তাঁরা গুরুতর আহত ছিলেন। আটকের পরপরই মারা যান।
ইউক্রেনের একজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা গত মাসে দাবি করেন, কুরস্ক অঞ্চলে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করা প্রায় ২০০ উত্তর কোরিয়ার সেনা সম্মুখসমরে হয় নিহত, না হয় আহত হয়েছেন।
হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগনের পক্ষ থেকে গত মাসে নিশ্চিত করা হয় যে উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী মূলত পদাতিক অবস্থানে থেকে রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সম্মুখ লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছে।