তুরস্কে বিরোধীদের ডাকে গণহারে পণ্য বর্জন
তুরস্কের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দেশটিতে সরকারের বিরোধীরা গণহারে পণ্য বর্জন পালন করে গতকাল বুধবার।
সরকারের বিরোধীদের এ বর্জন কর্মসূচির নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
গতকাল সরকারের পক্ষ থেকে বিরোধীদের এ কর্মসূচিকে অর্থনৈতিক ‘নাশকতার প্রচেষ্টা’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
দুই সপ্তাহ আগে মেয়র ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের পর দেশটির প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) এরদোগানের সরকারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সব পণ্য ও পরিষেবা বর্জনের আহ্বান জানায়।
বিরোধী দলের এ আহ্বান গতকাল আরও ব্যাপক আকার নেয়। এদিন বিরোধী দলের পক্ষ থেকে এক দিনের কেনাকাটা বন্ধ রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। এ আহ্বানে সমর্থন দিয়ে গতকাল বেশ কিছু দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়।
সিএইচপি দেশটির পার্লামেন্টের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল। ইমামোগলুকে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হয়।
দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী সংগঠনকে সহযোগিতার অভিযোগে গত ১৯ মার্চ ইমামোগলুকে আটক করা হয়। তাঁর মুক্তির দাবিতে ওই রাত থেকে রাজধানী আঙ্কারা, প্রধান শহর ইস্তাম্বুলসহ বিভিন্ন শহরে হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করছেন।
ইমামোগলুর বিরুদ্ধে অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলা হচ্ছে। ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের ঘটনাকে বিরোধী দল ‘রাজনৈতিক ক্যু’ আখ্যায়িত করেছে।
তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী ওমর বোলাত বলেছেন, পণ্য বর্জনের আহ্বান অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ। যাঁরা এই আহ্বানের পক্ষে কথা বলছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সরকারকে দুর্বল করার চেষ্টার অভিযোগ করেছেন তিনি।
বোলাত আরও বলেছেন, ‘অর্থনীতিকে ধ্বংস করার একটি প্রচেষ্টা এবং এতে অন্যায্য বাণিজ্য ও প্রতিযোগিতার উপাদান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আমরা এটিকে সেইসব চক্রের একটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছি, যারা নিজেদের এ দেশের প্রভু বলে মনে করে।’
ভাইস প্রেসিডেন্ট সেভদেত ইলমাজ বলেছেন, পণ্য বর্জনের আহ্বান সামাজিক সম্প্রীতি এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ। এ আহ্বান ব্যর্থ হবে।
জার্মানির সাবেক ফুটবলার মেসুত ওজিলসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী এবং সরকারপন্থী তারকা বর্জনের বিরুদ্ধে তাঁদের অবস্থান তুলে ধরেছেন। পণ্য বর্জনের এ আহ্বানের নেতৃত্ব দিয়েছেন সিএইচপি চেয়ারম্যান ওজগুর ওজেল।