আমাদের খলনায়ক দেখানো তাদের জন্য ভালো: প্রিন্স হ্যারি
বিবাদ মিটিয়ে রাজপ্রাসাদে ফেরার ইচ্ছে নেই বলে জানিয়েছেন প্রিন্স হ্যারি। কারণ, ব্রিটিশ রাজপরিবারের ফাঁস হওয়া তথ্যে তাঁকে ও তাঁর স্ত্রী মেগান মার্কেলকে খলনায়কের ভূমিকায় দেখানো হয়েছিল। গতকাল সোমবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন তিনি। খবর এএফপির।
রাজকীয় জীবনের স্মৃতি নিয়ে প্রিন্স হ্যারির লেখা বই প্রকাশের কয়েক দিন আগে আগামী রোববার পুরোপুরি প্রচার হতে যাচ্ছে তাঁর এই টেলিভিশন সাক্ষাৎকার।
হ্যারি বলেন, ‘তারা যদি এটাই ভাবেন, তাহলে আমাদের কোনো না কোনোভাবে খলনায়ক হিসেবে দেখিয়ে যাওয়াটাই বরং ভালো। বিবাদ মিটিয়ে মিলে যাওয়ার কোনো ধরনের আগ্রহ তাঁরা দেখাননি।’ তবে ‘তারা’ বলতে কাদের বুঝিয়েছেন, তা স্পষ্ট করেননি হ্যারি।
ওই সাক্ষাৎকারে ৩৮ বছর বয়সী প্রিন্স হ্যারি বলেন, এত কিছুর পরও তিনি তাঁর বাবা রাজা তৃতীয় চার্লস এবং ভাই ব্রিটিশ সিংহাসনের উত্তরাধিকারী উইলিয়ামকে ফিরে পেতে চান।
গত মাসে নেটফ্লিক্সে দেখানো একটি ডকুসিরিজে ব্রিটিশ রাজপরিবার নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতার ঝাঁপি খোলেন হ্যারি ও মেগান (৪১)। এতে আকস্মিক রাজপরিবার ছেড়ে এই দম্পতির ২০২০ সালে উত্তর আমেরিকায় পাড়ি জমানোর নেপথ্যে কী ছিল, তা তুলে ধরা হয়।
রাজপরিবারের বিবাদ নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে হ্যারি বলেন, ‘এভাবে কাজটা করার কোনো প্রয়োজন ছিল না—তথ্য ফাঁস, ফাঁদ পাতা। আমি একটা পরিবার চাই, প্রতিষ্ঠান নয়।’
রাজপরিবার ছেড়ে আসা হ্যারি বলেন, ‘আমি আমার বাবাকে ফিরে পেতে চাই। আমি আমার ভাইকে ফিরে পেতে চাই।’ ১০ জানুয়ারি প্রিন্স হ্যারির স্মৃতিকথা প্রকাশ হবে। এর আগে তিনি ব্রিটিশ নেটওয়ার্ক আইটিভি ও যুক্তরাষ্ট্রের সিবিএস টেলিভিশনকে পৃথক দুটি সাক্ষাৎকার দেন। আগামী রোববার সাক্ষাৎকার দুটি সম্প্রচারের কথা রয়েছে।