লন্ডনের সড়কে শোকাতুর মানুষের ঢল
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বাকিংহাম প্যালেসের বাইরে জনসমুদ্রে পরিণত হয়। এর আগে মধ্য লন্ডনে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শ্রদ্ধা জানাতে বাকিংহাম প্যালেসের বাইরে জড়ো হতে থাকেন সাধারণ মানুষ। শোকের মধ্যেই সড়কে দাঁড়িয়ে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাইতে দেখা যায় তাঁদের। খবর বিবিসির
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে যখন জানানো হয়, রানি চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে, তখনই তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। এ কারণে মৃত্যুর খবর ঘোষণার আগেই সাধারণ মানুষ রানির সুস্থতা কামনায় বাকিংহাম প্যালেসের ফটকে ফুল দিতে আসেন। রানির মৃত্যুর ঘোষণা দেওয়ার পর প্যালেসের পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। এ সময় প্যালেসর বাইরের চত্বরে শত শত মানুষকে শোক প্রকাশ করতে দেখা যায়। দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা রানিকে শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে আসেন অনেকেই।
তাঁদের একজন শিলা বিল্লাইগু (৭৭)। তাঁর চোখমুখজুড়ে শোকের ছায়া। তিনি বলেন, সবাই এখানে আছে বলে আমার খুব খারাপ লাগছে। পতাকা না দেখা পর্যন্ত আমি জানতামই না যে রানি মারা গেছেন।
রানির সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এক কথায় বলেন ‘বিশ্বস্ত’। শিলা আরও বলেন, ‘তিনি অসাধারণ একজন রানি ছিলেন। আমরা সবাই তাঁকে খুব মিস করব।’
শিলার মতো মাইকেল হ্যামন্ড নামের এক তরুণ অর্ধনমিত পতাকা দেখে রানির মৃত্যুর খবর জানতে পারেন। তিনি বলেন, ‘আমি একেবারে হতাশ। আমি ভেবেছিলাম তিনি ব্রিটিশ চেতনার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন।’
এদিকে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতি শ্রদ্ধার জানাতে বাকিংহাম প্যালেসের দিকে যাওয়ার প্রধান রাস্তায় সারি সারি কালো ক্যাব পার্কিং করে রেখেছেন লন্ডনের প্রায় ৫০ জন ক্যাবচালক। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রানির মৃত্যুর খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে অনেক চালকই গাড়ি পার্ক করা শুরু করেন।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। হাঁটাচলা ও দাঁড়িয়ে থাকতে তাঁর সমস্যা হচ্ছিল। স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসলে অবস্থানকালে বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি মারা যান বলে ঘোষণা দেয় বাকিংহাম প্যালেস। মৃত্যুর খবর শুনে ক্যাসলের বাইরে ফুল দিয়ে রানিকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন সাধারণ মানুষ।