ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর বোরোদিয়ানকায় দুটি বিধ্বস্ত আবাসিক ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ২৬টি লাশ উদ্ধারের দাবি করা হয়েছে। ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের ফেসবুক পোস্টের বরাতে বিবিসি অনলাইন এসব তথ্য জানিয়েছে।
ফেসবুক পোস্টে ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেল ইরিনা ভেনেদিকতোভা অভিযোগ করেছেন, রুশ বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে বোরোদিয়ানকার বেসামরিক এলাকাকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করছে।
ইরিনা বলেন, ‘এখানে (বোরোদিয়ানকা) কোনো সামরিক স্থাপনা নেই।’
ইরিনার দাবি, সন্ধ্যার দিকে, যখন বেশির ভাগ মানুষ ঘরে থাকে, তখন রুশ বাহিনী বোরোদিয়ানকার আবাসিক অবকাঠামোগুলো নিশানা করে গোলা হামলা চালায়।
ইরিনার ভাষ্য, রুশ বাহিনী যে যুদ্ধাপরাধ করছে, পদে পদে তার প্রমাণ আছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, বোরোদিয়ানকা শহরে ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা বুচা শহরের চেয়ে অনেক বেশি ভয়াবহ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।
বোরোদিয়ানকা ও বুচা উভয় শহরই কিয়েভের উপকণ্ঠে অবস্থিত। কিয়েভের নিয়ন্ত্রণ নিতে রুশ বাহিনীর প্রচেষ্টা চালালে এই দুই শহরে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে তাদের তুমুল লড়াই হয়।
কিয়েভ অঞ্চল থেকে রুশ বাহিনী ইতিমধ্যে পুরোপুরি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন।
সম্প্রতি বুচা শহর থেকে রুশ সেনারা চলে যান। রুশ সেনারা চলে যাওয়ার পর শহরটির সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে অনেকগুলো লাশ ও গণকবর খুঁজে পাওয়ার কথা জানান স্থানীয় কর্মকর্তারা।
বুচা কর্তৃপক্ষ জানায়, শহরে যাঁদের লাশ পাওয়া গেছে, তাঁদের মধ্যে ৩২০ জনই বেসামরিক নাগরিক।
বুচা শহরে রুশ বাহিনী যুদ্ধাপরাধ সংঘটন করেছে বলে অভিযোগ করে আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানায় কিয়েভ।
ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলোর কর্মকর্তারা দাবি করেন, রাশিয়া যে বুচা শহরে যুদ্ধাপরাধ করেছে, তার প্রমাণ রয়েছে। তবে রাশিয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করে।