যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে ‘গণবিধ্বংসী অস্ত্র’ বলছে চীন

গণতন্ত্র সম্মেলনে সভাপতি ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন
ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্র আয়োজিত ‘বৈশ্বিক গণতন্ত্র সম্মেলন’ নিয়ে আগে থেকেই নিন্দা জানিয়ে আসছিল চীন। বিশ্বের ১১০টি দেশকে নিয়ে গতকাল শুক্রবার ভার্চ্যুয়াল সম্মেলন শেষ হয়েছে। এরপর আবারও সম্মেলনের সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে ‘গণবিধ্বংসী অস্ত্র’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে বেইজিং। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার উত্থানের মধ্যে মিত্র ও একই মতাবলম্বী দেশগুলোকে নিয়ে এ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সভাপতিত্বে এ সম্মেলনে উপেক্ষিত হয়েছে চীন, রাশিয়া ছাড়া আরও অনেক দেশ। চীন এর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। জো বাইডেনের বিরুদ্ধে স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার মতাদর্শগত বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগ তুলেছে বেইজিং।

আজ শনিবার এ নিয়ে এক অনলাইন বিবৃতি দিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র। সেখানে তিনি বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে অন্য দেশে হস্তক্ষেপ করার জন্য গণতন্ত্রকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বাইরের দেশে ‘রঙিন বিপ্লব’ উসকে দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি।

চীনের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক মতাদর্শগত বিদ্বেষের সীমা টানা, গণতন্ত্রকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের কৌশল এবং বিভাজন ও সংঘাত উসকে দিতেই এই সম্মেলন।

এর পরিবর্তে বরং ‘ছদ্মবেশ ধরে থাকা গণতন্ত্রকে কঠোরভাবে প্রতিরোধ ও এর বিরোধিতা করার’ প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছে চীন।

চীন এ সম্মেলন শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে দুর্নীতিগ্রস্ত ও ব্যর্থ হিসেবে আখ্যায়িত করে এর সমালোচনা ও প্রচারণা চালায়।

গত বৃহস্পতিবার ‘দ্য সামিট ফর ডেমোক্রেসি’ নামের এ সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে বাইডেন সারা বিশ্বে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান। শতাধিক দেশের নেতাদের অংশগ্রহণে প্রথমবার এ ধরনের সম্মেলন হয়েছে। এর উদ্দেশ্য বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রের পিছিয়ে পড়া, মানবাধিকার ও স্বাধীনতার অবক্ষয় ঠেকানো।