২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

মিয়ানমারে পুলিশের গুলিতে আরও ২০ জন নিহত

নিহত ব্যক্তির মৃতদেহ নিয়ে স্বজনদের প্রতিবাদ। গতকাল সোমবার ইয়াঙ্গুনের একটি হাসপাতালে
ছবি: এএফপি

মিয়ানমারে সেনাশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় রাজপথে প্রতিদিনই রক্ত ঝরছে। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ৫০ জন নিহত হওয়ার পরের দিন গতকাল সোমবারও প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২০ জন। স্থানীয় একটি পর্যবেক্ষণ সংগঠনের বরাতে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

এরপরও রাজপথ ছাড়ছেন না বিক্ষোভকারীরা। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছেন তাঁরা।

আগের দিন রোববার ৫০ জনের প্রাণহানির পরের দিন গতকাল আবার বিক্ষোভে নামেন ক্ষমতাচ্যুত নেতা অং সান সু চির সমর্থকেরা। মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়, মধ্যাঞ্চলীয় শহর মাইংয়ান, অংলানসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এদিনও পুলিশ বিক্ষোভকারীদের রুখতে গুলি ছোড়ে।

পর্যবেক্ষণ সংগঠন দ্য অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি) জানায়, গতকাল সোমবারের সহিংসতায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, হতাহতের সংখ্যা মারাত্মকভাবে বাড়ছে। এখন পর্যন্ত নিহত মানুষের সংখ্যা ১৮০ জন ছাড়িয়ে গেছে।

এএপিপি আরও জানায়, সোমবার বিক্ষোভে অংশ না নিয়েও নিহত হয়েছেন দুই নারী। পথের ধারে নিজ নিজ বাড়িতেই ছিলেন তাঁরা। রাস্তায় বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালালে গুলিবিদ্ধ হয়ে তাঁরা নিহত হন।

এদিন সবচেয়ে বেশি লোক নিহত হয়েছেন মধ্য মিয়ানমারে। ইয়াঙ্গুনের বাণিজ্যিক এলাকায় নিহত হয়েছেন অন্তত তিনজন, যাঁদের মধ্যে ওই দুই নারী আছেন ।

রোববারের সহিংসতার পর ইয়াঙ্গুনের ছয়টি এলাকায় ‘মার্শাল ল’ জারি করা হয়েছে।

সেখানে গ্রেপ্তার করা লোকজনের বেসামরিকের আদালতের বদলে সামরিক আদালতে বিচার করা হচ্ছে, তিন বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ডের মুখে পড়ছেন তাঁরা।

গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক নেতা অং সান সু চিকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। ক্ষমতা দখলের পর জরুরি অবস্থা জারি করে জান্তা সরকার। কিন্তু সেটা অমান্য করেই রাজপথে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন হাজারো বিক্ষোভকারী।