বাধ্যতামূলক মৃত্যুদণ্ডের বিধান বিলোপ করছে মালয়েশিয়া
বাধ্যতামূলক মৃত্যুদণ্ডের বিধান বিলোপ করছে মালয়েশিয়া। খবর আল–জাজিরার
মালয়েশিয়ায় বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, হত্যা-সন্ত্রাসবাদসহ ১১টি অপরাধের ক্ষেত্রে সাজা হিসেবে বিচারপতিদের বাধ্যতামূলকভাবে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করতে হয়।
এখনই সেই বিধান বিলোপ করতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। বিধানটি বিলোপের পর কোন অপরাধীর জন্য কোন সাজা যথার্থ হবে, সে বিষয়ে বিচারপতিরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার আইনমন্ত্রী ওয়ান জুনাইদি তুয়ানকু জাফর বলেন, বাধ্যতামূলক মৃত্যুদণ্ডের বিকল্প নিয়ে বিশেষজ্ঞদের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেছে সরকার। এখন প্রস্তাবিত বিকল্প সাজাগুলো বিবেচনা করা হবে। আরও ২২টি অপরাধের ক্ষেত্রেও মৃত্যুদণ্ডের ব্যবহারের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
২০১৮ সালের অক্টোবরে পাকাতান হারাপান সরকারের সময় প্রথম মৃত্যুদণ্ডের বিধান বিলোপের পদক্ষেপ নেয় মালয়েশিয়া। বর্তমানে দেশটিতে মৃত্যুদণ্ড প্রদানের ওপর স্থগিতাদেশ রয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, মালয়েশিয়ায় বর্তমানে ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি আসামি মৃত্যুদণ্ডের মুখে রয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই মাদকসংক্রান্ত মামলার আসামি।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব দেশে এখনো মৃত্যুদণ্ডের বিধান বহাল আছে, তাদের উচিত অত্যন্ত গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রেই শুধু এই সাজা ব্যবহার করা।
বাধ্যতামূলক মৃত্যুদণ্ডের বিধান বাতিলে মালয়েশিয়া সরকারের নেওয়া পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে এশিয়াভিত্তিক মৃত্যুদণ্ডবিরোধী সংগঠন এডিপিএএন।
এক বিবৃতিতে এডিপিএএন বলেছে, বাধ্যতামূলক মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা যায় না। কারণ, বিচারপতিরা তখন পরিস্থিতির ভিত্তিতে প্রত্যেক অপরাধীর জন্য আলাদা সাজা নির্ধারণের সুযোগ পান না।
মাদক মামলাকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করা, মাদক পারাপারকারী ও সত্যিকারের পাচারকারীর মধ্যে পার্থক্য তৈরি করাসহ ফৌজদারি বিচারব্যবস্থায় সংস্কার নিয়ে আসার জন্যও আহ্বান জানিয়েছে এডিপিএএন।
মালয়েশিয়া সরকার কখন বিকল্প সাজা নিয়ে পর্যালোচনা শেষ করবে, সে ব্যাপারে কিছু জানাননি দেশটির আইনমন্ত্রী।