বাঘ গুনতে হাজারের বেশি ক্যামেরা
ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের ভারতের অংশে গতকাল শনিবার থেকে বাঘ গণনা শুরু করেছে দেশটির সরকার। এ জন্য পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনের ৫৮২টি জায়গায় বসানো হচ্ছে ১ হাজার ১৬৪টি অত্যাধুনিক ক্যামেরা। এই গণনার কাজ করছে সুন্দরবন ব্যাঘ্র্র প্রকল্প দপ্তর।
বাঘ গণনার কাজে নিয়োগ করা হয়েছে ১০টি দল। একটি দলে ১২ জন করে সদস্য থাকবেন। সব মিলিয়ে ১২০ জন সদস্য এই বাঘ গণনার কাজে যুক্ত হয়েছেন। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধিকর্তা তাপস দাস বলেছেন, মোট ১ হাজার ১৬৪টি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে সুন্দরবনের ৫৮২টি জায়গায়। এই গণনাকাজে সাহায্যের জন্য ৪০০টি ক্যামেরা দিয়েছে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর ন্যাচার ইন্ডিয়া।
তাপস দাস বলেছেন, প্রতি চার বছর অন্তর বাঘ গণনার কাজ হয়। জঙ্গলে ক্যামেরা বসিয়ে বাঘের যে ছবি পাওয়া যাবে, তা উত্তরাখণ্ড রাজ্যের রাজধানী দেরাদুনে পাঠিয়ে বিশ্লেষণ করে বাঘের সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করা হবে। মূলত সুন্দরবনের জঙ্গলের আবহাওয়া শীতকালে বাঘ গণনার জন্য অনুকূল থাকে। তাই ডিসেম্বর মাসে শুরু করা হয় বাঘ গণনার কাজ। সর্বশেষ গণনায় সুন্দরবনে শনাক্ত করা হয় ৯৬টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার। ভারতের বন দপ্তরের কর্মকর্তারা আশা করছেন, এবার এই গণনায় বাঘের সংখ্যা বাড়বে। গণনার কাজ চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
শীতকালে নদীতে জোয়ারের সময় পানির পরিমাণ কম থাকে। তা ছাড়া ওই সময় লোনাজল ঢুকে ক্যামেরাও নষ্ট করতে পারে না। তাই বাঘ গণনার জন্য শীতকালকে বেছে নেওয়া হয়। যদিও এবার গাছের গোড়ায় ক্যামেরা লাগানোর পাশাপাশি ড্রোন ও জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে গণনার কাজ করা হবে।
১৯৮৭ সালে ইউনেস্কো সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করে। সুন্দরবনের ৬০ শতাংশ পড়েছে বাংলাদেশের অংশে। আর বাকিটা ভারতে।