এক যুগ ধরে প্রতিদিন মাত্র ৩০ মিনিট ঘুম

ঘুমপ্রতীকী ছবি

শরীর সুস্থ রাখতে চাই পর্যাপ্ত ঘুম। চিকিৎসকেরা বলছেন, পূর্ণবয়স্ক এক ব্যক্তির দিনে সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। তবে তা মানতে নারাজ দাইসুকো হরি। অল্প ঘুমেই তুষ্ট তিনি। ১২ বছর ধরে নাকি প্রতিদিন মাত্র ৩০ মিনিট ঘুমিয়েছেন। কারণ কী? আসলে তিনি আরও বেশি সময় কাজে সক্রিয় থাকতে চান।

দাইসুকো হরির বাড়ি জাপানের পশ্চিমাঞ্চলের হিয়োগো অঞ্চলে। তিনি একজন উদ্যোক্তা। ভালোবাসেন আঁকাআঁকি-গানবাজনা করতে। প্রকৌশলবিষয়ক নকশা তৈরিও তাঁর পছন্দের কাজ। হরি বলেন, দিনে মাত্র ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট ঘুমান। শরীর ও মস্তিষ্ককে এমনভাবে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন, যেন কম ঘুমেও ক্লান্ত না হন।

ইন্টারনেটে হরির একটি জীবনবৃত্তান্ত পাওয়া যায়। তাতে লেখা, কীভাবে কম সময় ঘুমিয়ে টিকে থাকা যায় সেই কৌশল ২ হাজার ১০০ জনের বেশি মানুষকে শিখিয়েছেন তিনি।

২০১৬ সালে জাপান শর্ট স্লিপারস ট্রেইনিং অ্যাসোসিয়েশন নামের একটি সংগঠন চালু করেন হরি। সেখানে নিয়মিত স্বাস্থ্য ও ঘুমের ওপর ক্লাস নেন। তিনি বলেন, ‘যাঁরা কাজে মনোযোগ দিতে চান, তাঁদের জন্য দীর্ঘ সময় ঘুমের চেয়ে অল্প সময়ে উচ্চমানের ঘুম বেশি প্রয়োজন। যেমন চিকিৎসক ও অগ্নিনির্বাপকেরা কম বিশ্রাম নেন, তবে ওই স্বল্প বিশ্রামই তাঁদের অনেক কাজে আসে।’

ইন্টারনেটে হরির একটি জীবনবৃত্তান্ত পাওয়া যায়। তাতে লেখা, কীভাবে কম সময় ঘুমিয়ে টিকে থাকা যায় সেই কৌশল ২ হাজার ১০০ জনের বেশি মানুষকে শিখিয়েছেন তিনি। এমনই একজন জাপানের ইয়োমিউরি টিভিকে বলেন, হরির কাছ থেকে শিখে এখন দিনে মাত্র ৯০ মিনিট ঘুমান। চার বছর ধরে এভাবেই চলছে। তাঁর স্বাস্থ্যও ভালো আছে।

চিকিৎসকের ভাষ্যও একই। তাঁদের মতে, কম ঘুমের সঙ্গে সবাই খাপ খাইয়ে নিতে পারবেন না।

এদিকে হরির দীর্ঘদিনের এই অভ্যাস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চর্চা চলছে। যেমন একজন তাঁর প্রশংসা করে বলেছেন, সময় ব্যবস্থাপনায় চরম নৈপুণ্য দেখিয়েছেন হরি। কম ঘুমিয়ে কীভাবে আরও ভালোভাবে কাজ করা যায়, তা তিনিও শিখতে চান। আরেকজন বলেছেন, ‘কম ঘুমানোর কারণে মস্তিষ্ক যদিওবা বেশি সময় জাগ্রত থাকতে পারে, তবে হৃৎপিণ্ড এই চাপ নিতে পারবে না।’

চিকিৎসকের ভাষ্যও একই। তাঁদের মতে, কম ঘুমের সঙ্গে সবাই খাপ খাইয়ে নিতে পারবেন না। যেমন জাপানি চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ গুয়ো ফেইয়ের ভাষ্য, প্রাপ্তবয়স্কদের দিনে সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। সক্রিয় থাকার পর শরীর ও মস্তিষ্ককে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ঘুমের এই নিয়ম মানা গুরুত্বপূর্ণ।